সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমাতে টানা ৭ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, সারাদেশে দুই সপ্তাহ ধরে শৈত্যপ্রবাহ বহমান। প্রচণ্ড শীতের মধ্যে সকালে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। শিশুরা ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এমন অবস্থায় শিক্ষা প্রশাসন সমন্বয়হীন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। এতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারাও তালগোল পাকিয়ে ফেলেছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, টানা শৈত্যপ্রবাহে দুর্যোগ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে কোথায় কবে কত ডিগ্রি তাপমাত্রা নামলো তার দিকে না তাকিয়ে আগামী ৭ দিন স্কুল বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার জন্য শিক্ষা প্রশাসনের কাছে আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।
টানা শৈত্যপ্রবাহে স্কুল বন্ধ নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘তালগোল’-এর প্রভাব পড়েছে জেলাপর্যায়েও। দিনের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলেও কোথাও কোথাও স্কুল-কলেজ খোলা। কোথাও আবার হাইস্কুল ও মাদরাসা বন্ধ থাকলেও খোলা রাখা হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়।
আবার কোনো কোনো জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার ধারণা-স্কুল শুরুর সময় অর্থাৎ ১০টায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকলে তবেই স্কুল বন্ধ রাখতে হবে।
এমন তালগোল সিদ্ধান্তে শৈত্যপ্রবাহে কাহিল হয়েই স্কুলে ছুটতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা।
তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামায় বৃহস্পতিবার দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম ও পঞ্চগড় জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা জারি না হওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
গত মঙ্গলবার একদিনে তিন দফা বিজ্ঞপ্তি দেয় মাউশি। প্রথম দফায় বলা হয়, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রির নিচে নামলে সেই জেলায় স্কুল বন্ধ রাখা যাবে। দ্বিতীয় দফায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে মাউশি।
পরে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে দিনের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে স্কুল বন্ধের নির্দেশনা দেয় মাউশি।