আজ বেলা ১১টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল মাহে রমজানের পত্রিতা রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ডিসি ও এসপিকে পীর সাহেব চরমোনই হুজুরের পক্ষ থেকে প্রেরিত চিঠি প্রদান করেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সহ—সভাপতি মুহা. নুর হোসেন ও মাওলানা হাবিবুল্লাহ হাবিব, সেক্রেটারি মুহা. সুলতান মাহমুদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সেক্রেটারি মুহা. জাহাঙ্গীর কবির, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুহা. মেহেদী হাসান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
চিঠিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, এই মাসের কার্যক্রম, অভ্যাস ও প্রশিক্ষণকে কাজে লাগিয়ে একটা জাতিকে নৈতিকতায় সমৃদ্ধ উন্নত জাতিতে পরিণত করা যায়। সেজন্য প্রয়োজন এই মাসের নির্দেশনাগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন এবং তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা।
আমরা শতাব্দির পর শতাব্দি আয়োজন করে রমজান পালন করলেও রোজার যে শিক্ষা তার পূর্ণ বাস্তবায়ন জাতির সামগ্রিক জীবনে দেখা যায় না। ফলে আজো বাংলাদেশে দুর্নীতি, লুটতরাজ, নির্মম মুনাফাখোরী ও জাতীয় সম্পদ নয়—ছয় করার মতো অপরাধ হতে দেখা যায়। এমতাবস্থায় রমজানকে কার্যকর করতে এবং রোজার শিক্ষা জাতীয় জীবনে স্থায়ী করার মাধ্যমে উন্নত ও নৈতিকতা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আপনার প্রতি নিম্নোক্ত আহবান করছে।
১. মহান আল্লাহ তা‘আলা রমজান মাসে রোগী ও মুসাফির ব্যতিত প্রাপ্তবয়স্ক অন্য সকল ঈমানদারের জন্য দিনের বেলা পানাহার নিষিদ্ধ করেছেন। এজন্য সকলকে প্রকাশ্যে পানাহার থেকে বিরত রাখতে দিনের বেলায় হোটেল—রেস্তোরা বন্ধ রাখা।
২. পবিত্র মাহে রমজানে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা বন্ধ, বিশেষ করে সিনেমা হল, টেলিভিশন ও স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রদর্শিত সকল প্রকার ইসলামবিরোধী ও অশ্লীল অনুষ্ঠান বন্ধের চেষ্টা করা সকল মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব।
৩. পবিত্র রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধির কারণে সাধারণ রোজাদারগণ মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হন। এ জন্য ব্যবসায়ীসহ সকল মহলের কর্তব্য অবৈধ মজুতদারী ও কালোবাজারী প্রতিরোধ, ভেজাল খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় বন্ধ এবং দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া।
৪. সমাজ থেকে মারামারি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক, খুন, ধর্ষণ ও দুর্নীতিসহ সমাজ, রাষ্ট্র ও মানবতাবিরোধী কার্যকলাপ বন্ধের ব্যবস্থা নেয়া।
৫. দেশের স্থায়ী শান্তি ও মানুষের সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে কুরআন নাযিলের এই মাসে ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য জান—মাল, সময়শ্রম দিয়ে সর্বাত্মক চেষ্টা করা।
অতএব, সকলের উপর ঈমানী দায়িত্ব হলো, রমজানের হক সঠিকভাবে আদায় করা এবং পবিত্রতা রক্ষায় সচেষ্ট হওয়া। নিশ্চয় আপনি দেশের একজন বিশেষ ব্যক্তি, সে হিসেবে উপরোল্লিখিত বিষয়গুলোর প্রতি দৃষ্টি দিয়ে মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় সার্বিক সহযোগিতার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।