নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী একজন জনপ্রতিনিধি কে উদ্দেশ্যে করে বলেন ইভটিজিং বন্ধ করেন। জাতীয় সংসদের সদস্য আপনি, আর আপনি ইভিটিজিং করান। জননেত্রী শেখ হাসিনার সম্মান রক্ষা কইরেন।
আপনার ফ্যামিলির প্রশংসা করে দেখে মনে কইরেন না, হাতির পাঁচ পা দেখে ফেলছেন। প্রশংসা কেন করে সেটা বোঝার চেষ্টা করেন, সম্মান দেবার চেষ্টা করেন। মানুষের কাতারে আসেন, বিভক্তি বন্ধ করেন। চ্যালা-চামচাদের থামতে বলেন। না থামলে বন্দর, নবীগঞ্জে যেভাবে মানুষ প্রতিহত করেছে সেভাবে নারায়ণগঞ্জ শহরেও হবে।
আমার কাজ মানুষকে সাহসী করা, শহরবাসীকে জাগিয়ে তোলা। আমি অতন্দ্র প্রহরীর মতো নারায়ণগঞ্জবাসীর পাশে আছি। পদ-পদবীর প্রয়োজন নাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শেখ হাসিনার কর্মী হয়ে থাকতে চাই। শুক্রবার(১৭ই মার্চ) বেলা ১২টায় নগরীর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ কার্য্যলয়ে বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম জন্ম বার্ষিকি ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। আইভী আর বলেন
এই নারায়ণগঞ্জে ৫০-৬০ বছর যাবৎ যারা জমিদারি করে আসছে, তাদের জমিদারির অবসান ঘটাতে চাই ওই সাম্রাজ্যের অবসান ঘটাতে চাই। জনগণের মধ্যে প্রতিরোধ শুরু হয়ে গেছে।
নোংরামির জবাব আমি নোংরামি করে দিতে পারবো না কিন্তু ভদ্রভাবে দিতে পারবো। আমি এতো নিচে নামতে পারবো না। আমার পরিবারের শিক্ষা এটা না। নোংরামি করতে পারবো না কিন্তু আপনার নোংরা রাজনীতির জবাব সাহসীকতার সাথে দিতে পারবো।
কিন্তু যদি উত্যক্ত করতে চান তাহলে ছাড় দেওয়া হবে না। বাড়াবাড়ি ভালো নয়। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের কথা বলি, উন্নয়ন করতে দেন। এ রকম নোংরামি বরদাশত করা হবে না।
আইভী আরও বলেন, বন্দরের ঘটনা কিন্তু সামান্য নয়। হোন্ডাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কিন্তু করেছে সাধারণ জনগণ। তারও কিছুদিন আগে কিছু হোন্ডা রেখে গিয়েছিল, পুলিশ সেগুলো উদ্ধার করেছে। সেই ভূমিদস্যুদের সময় কিন্তু শেষ হয়ে এসেছে।
এখন মানুষ সব বোঝে। অভিনয়, ধোকাবাজি, ধাপ্পাবাজি সব বন্ধ করেন। যেহেতু সামনে নির্বাচনী বছর। নির্বাচন আসলে বহির্বিশ্ব থেকে শুরু করে দেশীয় ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে যায়। ডান-বাম সকলে একসাথে হয়ে কীভাবে সরকারকে নামানো যায় সেই চিন্তা শুরু করে দেয়।
এতগুলোকে প্রতিরোধ করতে হলে মানুষের কাছে যেতে হবে, মানুষকে বোঝাতে হবে। শেখ হাসিনা এদেশের জন্য কী করেছেন, তার উদ্দেশ্য কী তা মানুষকে জানাতে হবে। শুধু ধাপ্পাবাজি আর কার পেছনে কাকে লাগিয়ে দেওয়া যায় এ চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এর সভাপতিত্বে ও খালিদ হাসানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, সাবেক নারী সাংসদ এড ,হুসনে আরা বাবলি, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য অ্যাড, আনিসুর রহমান দিপু, সাবেক সহ সভাপতি আব্দুল কাদির, অ্যাড, আসাদুজ্জামান, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগরে আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রানু খন্দকার সহ প্রমুখ।