1. [email protected] : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. [email protected] : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সমাবেশ ও মিছিল - সকাল নারায়ণগঞ্জ
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বশিষে উদ্দশ্যেে র্গামন্টেস শ্রমকি ফ্রন্টরে নতেৃবৃন্দরে নামেবভ্রিান্তকির সংবাদ প্রকাশরে প্রতবিাদ সংখ্যানুপাতিক হার (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফ্যাসিস্ট ও সন্ত্রাসীদের পুনর্বাসন দেশের জনগণ মেনে নিবে না পুলিশ ‍সুপারের সাথে ইসলামী আন্দোলনের মতবিনিময় নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন মুশিউর রহমানকে ভৎসনা করেছেন আদালত সেলিম খন্দকার খোকার মত্যুতে নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক উন্নয়ন ফোরামের গভীর শোক প্রকাশ জান্নাতুল বাকিতে ডা. রাশেদার দাফন সম্পন্ন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ-এর সাথে ইসলামী আন্দোলনের নেতৃকর্মীদের সাক্ষাত ইসলামী আন্দোলন নগর সাংগঠনিক সম্পাদকের মায়ের ইন্তেকাল বাস ভাড়া কমানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সমাবেশ ও মিছিল

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০২৩
  • ১৪৫ Time View
  • সকাল নারায়ণগঞ্জ

 

 

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে আজ বিকাল ৪ টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সমাবেশ ও শহরে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

 

সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মিমি পূজা দাসের সভাপতিত্তে¡ ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আক্তারের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্যসচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুন্নাহার রুমা, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রিমা আক্তার, জেলার কমিটি সদস্য মোর্শেদা আক্তার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মুন্নি সরদার ।

 

নেতৃবৃন্দ বলেন, নারীর প্রতি বৈষম্য, জাতিগত ও সা¤প্রদায়িক নিপীড়ন এর বিরুদ্ধে নারীর সমঅধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের সংগ্রামে নারী দিবস একটি প্রেরণা। ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ নিউইয়র্কের সুই কারখানার নারী শ্রমিকেরা ১২-১৬ ঘন্টা শ্রম,অমানবিক কাজের পরিবেশ, মজুরি বৈষম্য, অভিবাসী ও কৃষ্ণাঙ্গ শ্রমিকদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং ভোটাধিকারের দাবিতে হাজার হাজার নারীর মিছিলে পুলিশ নৃশংস হামলা চালালে আহত ও গ্রেফতার হন অসংখ্য নারী শ্রমিক। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপের দেশে দেশে, চলতে থাকে বছরের পর বছর।

 

 

১৮৮৬ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরের হে মার্কেটে ৮ ঘন্টা কর্মদিবসের দাবিতে গড়ে ওঠে ঐতিহাসিক মে দিবসের রক্তাক্ত শ্রমিক অভ্যুত্থান। ১৯১০ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক নারী সম্মেলনে জার্মান কমিউনিস্ট নেত্রী ক্লারা জেটকিনের প্রস্তাবে ৮ মার্চকে নারী দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৯১১ সাল থেকে ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে দুনিয়ার দেশে দেশে পালিত হয়ে আসছে।

 

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, নারী দিবস ঘোষণার ১১৩ বছর পরও আমাদের দেশে নারীরা রাষ্ট্রীয়ভাবেই আইনি বৈষম্যের শিকার। সম্পত্তির উত্তরাধিকারে নারীর সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা পায়নি। এমনকি সমকাজে সমমজুরী আইনে থাকলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি।

 

একটা দেশ কতখানি উন্নত তা বোঝা যায় সেই দেশের নারীরা কতখানি অধিকার ও নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন তা দিয়েই। মুক্তিযুদ্ধের ৫১ বছরে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি। সারাদেশে নারী-শিশু নির্যাতন-ধর্ষণ-হত্যা ভয়াবহভাবে বেড়েছে। কিন্তু কোন ঘটনারই উল্লেখযোগ্য বিচার হতে দেখা যায় নি। অবিলম্বে সরকারের উচিত সম্পত্তির উত্তরাধিকারে নারী পুরুষের সমঅধিকার নিশ্চিত ও ইউনিফর্ম সিভিল কোড চালু করা ।

 

নেতৃবৃন্দ বলেন, কর্মক্ষেত্রে আজও নারীরা সমকাজে সমমজুরি পান না। ৮ ঘন্টার কর্মদিবসের দাবি এখন উপহাসে পরিণত হয়েছে। সংসার চালানোর খরচ যোগাতে শ্রমিকরা নিজেরাই ওভারটাইম কাজ করতে চায়। গৃহশ্রমিকদের তো কর্মঘন্টার কোন হিসেবই থাকে না। গৃহস্থালী কাজের মূল্যায়ন হয় না।

 

অথচ গৃহিনী নারীরা দিনে গড়ে ১৬ ঘন্টায় ৪৫ ধরণের কাজ করে থাকেন। গৃহস্থালী কাজকে অর্থনৈতিক কাজ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে, জিডিপি’র অন্তর্ভূক্ত করতে হবে, সকল ক্ষেত্রে ৬ মাস মাতৃত্বকালীন সবেতন ছুটি কার্যকর করতে হবে, সকল নগর ও পৌর এলাকায় সরকারিভাবে ডে কেয়ার সেন্টার চালু করতে হবে। দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক বা সাংস্কৃতিক যে কোন সংকটে সবচেয়ে বেশি ভূক্তভোগী হন নারীরা।

 

দ্রব্যমূল্যসহ গ্যাস বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রভাবও ঘরের নারীদের ওপরই সবচেয়ে বেশি পড়ে। ফলে নারীর অধিকার রক্ষা, কর্মক্ষেত্রের স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পাশাপাশি যে বৈষম্যমূলক সমাজের কারণে মানুষের উপর শোষণ নির্যাতন চলছে প্রতিনিয়ত তার বিরুদ্ধেও সচেতন সংগ্রাম গড়ে তোলা অত্যাবশ্যকীয়। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের চেতনার মূলেও ছিল শোষণ বৈষম্যহীন সাম্য সমাজ গড়ার আহŸান।

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL