নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধি করতে শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩ টায় ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে এক ‘বিশেষ কর্মী সভা’র ডাক দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। যাতে মহানগর ছাত্রলীগের সকল নেতা-কর্মীকে থাকার আহ্বান জানানো হয়।
এরই ধারাবাহীকতায়, কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে বরণ করে নিতে হাজার হাজার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয় কর্মী সভায়। নারায়ণগঞ্জ মহানগরের আওতাধীন সকল এলাকা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে যোগ দেন ওই সভায়। যা দেখে নজর কেড়েছে কর্মী সভার মধ্যমণি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কার্য্য নির্বাহী কমিটির সভাপতি মোঃ সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে বিষেশ কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় কার্য্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান । নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়নগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাষ্ট্রিজের পরিচালক অয়ন ওসমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মোঃ শহীদ বাদল ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, জি এম আরমান, শাহ নিজাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড, হাসান ফেরদৌস জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহসিন মিয়া, মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী অধ্যাক্ষ শিরিন বেগম, যুবলীগ নেতা শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার শিখন সহ নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগের সিনিয়ির নেতৃবৃন্দরা। যদিও তারা কেউই সভার মঞ্চে উঠেননি এমনকি বক্তব্যও দেননি। সকলকেই মঞ্চের সামনে রাখা চেয়ারে বসে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য শুনতে দেখা গেছে।
কর্মী সভার সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রাফেল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু।
জানা গেছে, গত বছর অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সময় বিলুপ্ত করা হয় মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি। যাতে করে যায়নি মহানগর ছাত্রলীগের তেমন কোন সাংগঠনিক কর্মসূচি। যা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছিলো নানা আলোচনা।
মহানগর ছাত্রলীগের সিনিয়র পর্যায়ের নেতৃবৃন্দদের নানা সময় বিভিন্ন কর্মসূচি করতে দেখা গেলেও তৃণমূল ছিলো অনেকটাই বেকায়দায়। বড় কোন কর্মসূচি না থাকায় ঝিমিয়ে পরছিলো তারা।
এমন অবস্থায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের সামনে তুলে ধরার মতো একটি বিশাল জনসমাগম অনেকটাই কষ্টসাধ্য ছিলো মহানগর ছাত্রলীগের পক্ষে। তবে, শেষ পযর্ন্ত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের চোখে পড়ার মতো একটি বিশাল জনসমাগমের আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছে মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক কমিটি। এই বিশাল জনসমাগম আগামী কমিটির ক্ষেত্রে কতটা লাভজনক হবে তা সময়ই বলে দিবে।