সকাল নারায়ণগঞ্জ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন বর্জন করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের প্যানেল এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের নেতা মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আগামীকাল ৩০ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পন্থি আইনজীবীরা কারচুপির মাধ্যমে তাদের বিজয় নিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র করছেন। এ লক্ষ্যে তারা তাদের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিল। যে নির্বাচন কমিশন বর্তমান সভাপতি এডঃ হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও পিপি এডঃ ওয়াজেদ আলী খোকনের কথা ছাড়া, নির্দেশ ছাড়া এক চুলও চলতে পারে না। তাদের নিজস্ব কোন সিদ্ধান্ত নেই, আওয়ামীলীগের আইনজীবী এবং নেতাকর্মীরা যে সিদ্ধান্ত দেয় তাই তারা পালন করে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, এজিএমে বার ভবনের নীচতলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণা দেয়া হলেও বর্তমানে নির্বাচন কমিশন আওয়ামী প্যানেলকে ভোট কারচুপিতে সহযোগীতা করার জন্য ভেন্যু পরিবর্তন করে জজ কোর্টের তৃতীয় তলায় অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন। নির্বাচনী ভেন্যু পরিবর্তনের ব্যাপারে আমাদের (জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ) সাথে কোন আলাপ-আলোচনা করা হয়নি। এছাড়াও নির্বাচন কমিশনে আছেন পি পি ও জিপি। যারা আওয়ামী প্যানেলের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলো।
আমরা নির্বাচনে থাকার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছি, শত বাধা, হুমকি-ধমকি সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে ছিলাম। ভোট চুরির লক্ষ্যে নির্বাচনী ভেন্যু পরিবর্তনেআওয়ামী প্যানেলের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ায় নির্বাচন কমিশনের প্রতি ও নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি আমাদেরআর কোন আস্থা নেই। তাই আমরা এ নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনকে বর্জন করছি এবং কারচুপির এ নির্বাচনে ভোট না দেয়ার জন্য সাধারণ আইনজীবীদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলন শেষে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালত চত্ত্বরে নির্বাচন কমিশানেরর কুশপুত্তলিকা দাহ করে এবং বিক্ষোভ মিছিল করে।
তবে নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি এডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল বলেন, তাদের এসকল অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই, নিরাপত্তার স্বার্থ চিন্তা করেই হয়তো নির্বাচন কমিশন ভেন্যু পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাছাড়া মুখে মুখে বললেই নির্বাচন বর্জন করা যায় না, এর জন্য লিখিত আবেদন জানাতে হয়।