বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতিক বলেছেন, সুভাষ সাহা এমন একটি আয়োজন করেছেন এটাতে আমি খুব আনন্দিত। গুণিজনদের ক্রেস্ট দিয়ে আমি নিজেও আনন্দিত। যাদের সম্মাননা দিয়েছে তারা যার যার জীবনে সফলতা এনেছেন। আর এই সফলতা আনতে গেলে একটা পরিবেশ চাই। আর এই পরিবেশ করে দিয়েছেন আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। উনি এই দেশ স্বাধীন না করলে আমরা কেউ জীবনে সফলতা আনতে পারতাম না। পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশে কোন সফল ব্যাক্তি ছিলো না। আজকে সেই পরিবেশ আমরা বাঙ্গালীরা তৈরী করেছি। আজকে আমরা বিভিন্ন লাইনে সফলতা এনেছি, কেউ সাংবাদিকতার লাইনে, কেউ সংস্কৃতির লাইনে, নারী উদ্যোক্ততা। আমরা পুরুষরা শিল্পপতি হতে অনেক বাধা উপেক্ষা করতে হয়, কিন্তু নারীদের অনেক ব্যাতিক্রম আছে। যেহেতু নারী সফলতা আছে, আমি এখান নারীদের অশেষভাবে ধন্যবাদ জানাবো।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের আলী আহমদ চুনকা পাঠাগারে ‘বিষের বাঁশী’র ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, হাসিম মাহমুদকে দেখলাম সবাই ভালোবাসে, অনেক ত্যাগের মাধ্যমে আজ সে এখনে এসেছেন। আপনারা সেই ত্যাগটাকে মূল্যয়ন করেছেন। তাঁর গানটাকে আপনারা এতো মূল্যয়ণ করেছেন, যেখানে তাঁর গানে তাল মিলিয়েছেন, এটা তার একটা সফলতা।
ডিআইজি হারুন অর রশিদের ব্যপারে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, আজকে হারুন সাহেব কেনো জনপ্রিয় হয়েছেন? কারণ তিনি কঠিন কাজ করেছেন। মানুষকে সত্যের পথ দেখিয়েছেন, যার ফলে তিনি সফল হতে পেরেছেন। ফারদিন হত্যা মামলায় নানা কথা উঠেছিলো, মাদকের কথাও উঠেছিলো। তিনি মাদক খেয়ে হত্যা হয়েছে, তাকে চরিত্র হরণ করা হয়েছে, তাকে চনপাড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। কিন্তু না হারুণ সাহেব এটাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। এইযে যেই সাহসিকতার ভূমিকা রেখেছেন, এই সাহসিকতা তিনি নারায়ণগঞ্জে রেখেছেন। মানুষের কাছে তিনি জনপ্রিয় হয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনকে বলবো, যেমন হারুণ সাহেব নাম নারায়ণগঞ্জে জনপ্রিয় হয়েছে, তেমনি আপনারা জনপ্রিয় হবেন। হওয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি।
এ সময় বিষের বাঁশীর সম্পাদক সুভাস সাহার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপার (বর্তমানে ডিআইজি) হারুন অর রশিদ, খবেরর পাতার সম্পাদক ও জেলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি এড. মাহবুবুর রহমান মাসুম প্রমুখ।