‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষকদের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শিক্ষকদের সম্মানের চোঁখে দেখতেন। তিনি শিক্ষকদের অত্যন্ত সমীহ করতেন। বাংলাদেশের শিক্ষার অধিকার ও শিক্ষকের মর্যাদার প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। টানা দুই শত বছরের বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদ এবং তেইশ বছরের পাকিস্তানী শোষণ, নিপীড়ন, নির্যাতন ও শিক্ষা সংকোচন নীতি শিক্ষা ও শিক্ষকের মর্যাদার ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। ফলে শিক্ষাদীক্ষায় আমরা অনেক পিছিয়ে ছিলাম।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারী) দুপুরে রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া এলাকায়, সহিতুন্নেছা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ বিস্তরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠানে, প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা উত্তরকালে বঙ্গবন্ধু সরকারই যুদ্ধবিধস্ত বাংলাদেশে শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণের মাধ্যমে শিক্ষার ভিত রচনা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে এক সঙ্গে ৩৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুই বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন পঁচাত্তর টাকা এবং কলেজ শিক্ষকদের বেতন একশত টাকা চালু করেছিলেন।
মন্ত্রী গাজী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাক্ষেত্রে বেতন ভাতা বৃদ্ধি, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারসহ সব ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষায় বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। শিক্ষা জাতির মুল শক্তি এবং শিক্ষকরা অন্ধকারে আলোর দিশারি। তাঁরা জাতি বিনির্মাণের কারিগর। এ জন্যই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে শিক্ষার ভীত রচনা করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর মতো বঙ্গবন্ধু কন্যা সফল রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনাও শিক্ষার উন্নয়নে ও শিক্ষকদের মর্যাদার ব্যাপারে সচেষ্ট রয়েছেন। এ জন্য তিনি শিক্ষার উন্নয়নে বিভিন্ন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। যার সুফল এখন রাষ্ট্র পাচ্ছে। এখনো শিক্ষা ক্ষেত্রে যে সকল সমস্যা রয়েছে তা নিরসনে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।”
রূপগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিক উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান ভুঁইয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ফয়সাল হক, উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আশরাফুল আলম সিদ্দিকী, সহিতুন্নেছা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, নবকিশলয় হাই স্কুল এন্ড গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ নজিবর রহমানসহ অনেকে।