নারায়নগঞ্জের পাড়া-মহল্লা অলি-গলিতে ব্যাটারিচালিত রিক্সা,মিশুক,অটোর বেপরোয়া চলাচলে বাড়ছে দুর্ভোগ-দুর্ঘটনা। এসব যানকে অবৈধ ঘোষণা করা হলেও লাইসেন্স না থাকায় কথিত কিছু সাংবাদিকের নামে হরহামেশেই চলাচল করছে এসব যানবাহন।
সাধারণ রিক্সার সাথে বাজার থেকে কেনা ইউপিএস,ব্যাটারি এবং ছোট মটর সংযোগকারী এসব রিচার্জেবল ব্যাটারি চালিত অবৈধ অটো ও রিক্সার আধিপত্য এখন নারায়ণগঞ্জ জুড়ে। এর ফলে পায়ের সাহায্যে প্যাডেল দ্বারা রিক্সা চালানো কষ্ট বিধায় রিক্সা চালকগণ ব্যবহার করতে উৎসাহিত হচ্ছে এবং দ্রুতগামী বিধায় যাত্রীগণও আরোহনে সাচ্ছন্দ মনে করছে।এর ধারাবাহিকতায় বর্তমানে এধরনের রিচার্জেবল ব্যাটারি চালিত অবৈধ অটো ও রিক্সার হার দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জের ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ প্রতিনিয়ত ১৫০-২০০ মিশুক ও অটোরিক্সা আটক করলেও এর বেশিরভাগ গাড়ি স্টিকার লাগানো দেখার পর ছেড়ে দিচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ।
ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ শহিদুল,শফিকুল,হাসান,বাশার প্রতিদিন ১০০-১৫০ গাড়ি আটক করলেও এই বিল যথাযথভাবে সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তারা জানাতে রাজি হন না।
মামুন নামে এক মিশুক চালক সকাল নারায়নগঞ্জকে বলেন,যাদের গাড়িতে স্টিকার লাগানো থাকে ট্রাফিক পুলিশ তাদের কে ছেড়ে দিলে আমাদেরটা কেন ছাড়ে না আমাদের গাড়ি কেন রেকারে ধরে নিয়ে আসে। তাদেরটা ছাড়লে আমাদেরটাও ছাড়তে হবে বল দাবি জানান।
নারায়নগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত রেকারে কমিউনিটি পুলিশের সাথে সাথে কিছু দালালের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে এরা মিশুক চালকের সাথে কথা বলে টাকা নিয়ে ট্রাফিক ম্যানেজ করে গাড়ি ছেড়ে দেয়ার ব্যবস্থা করেন কোন রশিদ ছাড়াই