নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মঞ্জুরুল হাফিজ বলেছেন, সকলের সহযোগীতায় আমরা স্মৃতিসৌধের কাজ শুরু করেছি। এখানে যত টাকা ব্যয় হয়, আমাদের অভিভাবক ও স্থানীয় এমপি মহোদয় আছেন, তারা আমাদের উৎসাহ দিয়েছেন। সরকারি বরাদ্ধ ছাড়া এটা স্থানীয়ভাবে করা হচ্ছে, তাই টাকার হিসেবটা আমাদের কাছে আপাতত নেই। তবে আমরা এখন কাজ শুরু করতে চাই। কাজ শেষ হলে বলতে পারবো এখানে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করতে কত টাকা লেগেছে। আমরা ভেবেছিলাম এখানে একটা মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘর বানাবো। কিন্তু যেহেতু একটা খেলার মাঠ আছে সেটা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাই আমরা অন্য কোন স্থানে করার চেষ্টা করাবো।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় বন্দর উপজেলায় সমরক্ষেত্র মাঠে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায়, ‘নারায়ণগঞ্জ স্মৃতিসৌধ’ এর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি জেলা, অনেক বোধগম্য রয়েছে। এখানে অনেক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন। কিন্তু মানসম্মত কোন স্মৃতিস্তম্ব বা স্মৃতিসৌধ নাই। আর সেটা নিয়েই বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের আবেগের কথা বলেছে। তাদের দাবিতেই আজ আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। এটা হলে মানুষ উপকৃত হবে মানুষ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারবে বা ইতিহাস জানার একটা জায়গা তৈরী হবে। আর এখান থেকেই নারায়ণগঞ্জের মানুষ ইতিহাসকে আবার নতুন করে জানার সুযোগ পাবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোসা. ইসমত আরা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এইচ. এম. সালাউদ্দীন মনজু, বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান ও বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ রশীদ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিএম কুদরত এ খুদা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুরাইয়া ইয়াসমিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ (সানু), কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার প্রধান, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাকসুদ হোসেন, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সালাম মিয়া, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদ, ধামঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেনসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ