৩ মাসের বকেয়া বেতন আদায়ের দাবিতে নারায়ণগঞ্জের ডিসি অফিসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জের এস এস ক্রিয়েটিভ স্টিজ গার্মেন্টসের শ্রমিকরা। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় শ্রমিকরা চাষাড়া শহীদ মিনারে জড়ো হয়ে মিছিল নিয়ে ডিসি অফিসের সামনে গিয়ে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন তাঁরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন এস এস ক্রিয়েটিভ স্টিজ গার্মেন্টসের শ্রমিক মোঃ ফয়সাল সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি আঃ হাই শরীফ, সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, জেলা কমিটির সদস্য এম এ শাহীন, এস এস ক্রিয়েটিভ স্টিজ গার্মেন্টসের শ্রমিক মোঃ হৃদয়, শান্ত, অরুনা বেগম ও হাজেরা বেগম।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান বাজারে প্রাপ্ত মজুরিতে শ্রমিকদের পরিবার স্বজন নিয়ে জীবন ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না। চরম সংকটে মানবতর জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। এই দুরাবস্থার মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জের এস এস ক্রিয়েটিভ স্টিজ গার্মেন্টসের মালিক শ্রমিকদের ৩ মাসের বেতন বকেয়া রেখে গত ৩ ডিসেম্বর রাতে কারখানা গেইটে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে কারখানার দেড় শতাধিক শ্রমিক কর্মচারী পরিবার স্বজন নিয়ে না খেয়ে মরতে বসেছে। ঘর ভাড়া ও মুদি দোকানের বাঁকী টাকার পরিশোধের জন্য অপমান অপদস্ত হচ্ছে। সংকট নিরসনে রাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর, পুলিশ প্রশাসন, বিকেএমইএ ও জেলা প্রশাসকের দারস্থ হয়েও কোন সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না। ক্ষুধার্ত শ্রমিকরা দপ্তরে দপ্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাজপথে মিছিল, সমাবেশ ও অনশন কর্মসূচি পালন করেছে তাও বেতন আদায় হচ্ছে না। বিপদগ্রস্থ শ্রমিকরা প্রাণে বাঁচার তাগিদে বকেয়া বেতন আদায়ের দাবিতে ডিসি অফিসের সামনে বিক্ষোভ করতে বাধ্য হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সংকট নিরসনে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদয়ের গাফিলতি মেনে নেয়া হবে না। বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলে দাবি আদায়ের হুশিয়ারি দেন তাঁরা। বিক্ষোভ চলাকালে পাঁচ সদস্যের একটি শ্রমিক প্রতিনিধি দল ডিসি’র সাথে সাক্ষাত করতে যায়। ডিসি মহোদয় অফিসে না থাকায় এডিসি’র সাথে সংকট নিরসনের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। আলোচনা শেষে নেতৃবৃন্দ বলেন এডিসি তাতক্ষনিক ভাবে শিল্প পুলিশ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের সাথে কথা বলেছেন এবং ডিসি মহোদয় অফিসে আসার পর উনার সাথে আলোচনা করে দ্রুত পুলিশ দিয়ে মালিককে ধরে এনে বেতন আদায়ের ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এই আশ্বাসের ভিত্তিতে শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে গেছে।