ফতুল্লায় গলায় ফাঁস লাগানো ওমর ফারুক (৭০) নামক এক কবিরাজের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় সংলগ্ন নিহতের দোকান থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল(ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মাজেদা বেগম বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
নিহত কবিরাজ ওমর ফারুক ফতুল্লা মডেল থানার ময়মনসিং জেলার মুক্তাগাছা থানার মুর্শিদিয়ার মৃত কাশেম হাজীর পুত্র। সে স্ব- পরিবারে ফতুল্লা মডেল থানার উত্তর চাষাড়ার টিটু মিয়ার বাড়ীতে ভাড়ায় বসবাস করতো।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়েছে যে, নিহত ওমর ফারুক জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় এলাকায় কবিরাজি করতো। সেখানে একটি দোকানে বসে সে তার এই কবিরাজি করে আসছিলো। সে কিছু মানুষের সাথে নিয়মিত জুয়া খেলতো। জুয়া খেলতে গিয়ে সে তিন লাখ টাকা ঋণগ্রস্থ হয়ে পরে। ফলে সে মানসীক ভারসাম্যহীন হয়ে পরে। মঙ্গলবার দুপুর বারোটার দিকে নিহত তার দোকানের সার্টার নামাইয়া দোকানের কাঠের আড়ার সাথে লাইলনের সুতা দিয়ে গলায় মাস লাগিয়ে আত্নহত্যা করে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক সাইফুল জানায়, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরহতাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে।