নারায়ণগঞ্জ সদর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবির বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে না পেয়ে ছোট ছেলে প্রীতমকে (২০) নিয়ে যায় পুলিশ।
এর একদিন পরই বিষ্ফোরক আইন মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে প্রীতমকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
প্রীতমের মায়ের দাবি, তার ছেলে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে গ্রেফতার প্রীতমকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান মানিক।
এর আগে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ২ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল আবাসিক এলাকার প্রিয়ম টাওয়ারে অভিযান পরিচালনা করে প্রীতমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি জানান, রাতে হঠাৎ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শতাধিক সদস্য আমার বাড়ি ঘিরে ফেলে। এসময় তারা বাসার ভেতরে ঢুকে আমাকে খুঁজতে শুরু করে। বাসায় তল্লাশি চালিয়ে সেখানে আমাকে না পেয়ে ছোট ছেলে প্রীতমকে ধরে নিয়ে চলে যায়। এসময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করে তারা এবং আমার বাড়িঘর ভাঙচুর ও তছনছ করে।
মনিরুল ইসলাম রবির সহধর্মিনী নিলুফার ইয়াসমিন জানান, রাতে শতাধিক পুলিশ বাসায় এসে আমার ছোট ছেলেকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেছে। আমার ছেলে কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না। তাহলে কেনে পুলিশ আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে গেল?
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান জানান, গত ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। সে ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক দেবাশিষ কুন্ডু বাদী হয়ে বিএনপি-জামায়াত ও গণঅধিকার পরিষদের ৫৬ নেতাকর্মীর নামে ১ ডিসেম্বর বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করেন । ওই মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম রবির ছোট ছেলেকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। দুপুরে তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালত পাঠানো হয়েছে।