আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারেক রহমান একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাকে বাংলাদেশে ধরে এনে সাজা বাস্তবায়ন করব।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথ সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ব্রিটিশ সরকারকে বলব, তারেক জিয়াকে দেশে ফেরত পাঠাতে। কারণ সে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তারা (বহির্বিশ্ব) মানবতার কথা বলে, দুর্নীতির কথা বলে, আবার সেই খুনিদের আশ্রয় দেয়। কাজেই তাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। এ দেশে নিয়ে এসে সাজা আমি বাস্তবায়ন করব।
তিনি বলেন, আমাকে যখন আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হলো, তখনই দেশে চলে আসি। তারেক রহমানের বাপও (জিয়াউর রহমান) আমাকে ঠেকাতে পারেনি। আবার যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, তখনও পারেনি। এতই নেতৃত্ব দেওয়ার শখ, দেশের বাইরে পালিয়ে থেকে কেন? ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি, সেই সুযোগে ডিজিটালি কথা বলে।
সরকারপ্রধান বলেন, যেসব দেশ আমাদের দেশের গণতন্ত্রের কথা বলে, তাদের অবস্থা আমরা জানি। প্রতিদিন মানুষ খুন হয়, ভোট চুরির কারণে তাদের ক্যাপিটাল হোমেও আক্রমণ হয়। পাঁচ-ছয় জন গুলি করে মারে। আর তাদের কাছ থেকে আমার গণতন্ত্রের ছবক নিতে হবে!
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। প্রত্যেকটা এলাকায় নেতাকর্মীরা মাঠে থাকতে হবে। জ্বালাও-পোড়াও, হত্যা, খুন, মানি লন্ডারিং করে- এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমরা অনেক সহ্য করেছি। আমার কৃষক-শ্রমিক, আমাদের নেতাকর্মী কারও গায়ে হাত দিলে আর ক্ষমা নাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।