রাস্তায় বিকল হওয়া গাড়ি ও অবৈধ পার্কিংয়ে রাখা গাড়ি সরানো হচ্ছে রেকারের কাজ। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ পুলিশ রেকার ব্যবহারের ‘নিজস্ব পন্থা’ বের করেছে। এর মাধ্যমে স্বল্প আয়ের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকদের চাপে রাখা হয়। এমনকি রেকারে না তুলেই আদায় করা হয় রেকারের বিল। পুলিশের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতারাও রেকারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা তোলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আঞ্চলিক সড়কে অটোরিকশা চালানোর জন্যও রেকারের ভয় দেখিয়ে জরিমানা আদায় করা হয়। সম্প্রতি সকাল নারায়ণগঞ্জ ১৫ জন অটোচালকের সঙ্গে কথা বলেছে। তাঁদের সবাই প্রায় একই ধরনের অভিযোগ করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ ব্যবহার করে মোট ৮টি রেকার। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কয়েকটি স্থানের পাশাপাশি সেগুলো রাখা হয়েছে বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক সড়কেও। স্থানগুলো হচ্ছে পঞ্চবটি, সাইনবোর্ড, তারাবো, ভুলতা, শিমরাইল, রূপগঞ্জের কাঞ্চন, চাষাঢ়া ও শিবু মার্কেট।
এইসব অবৈধ রিক্সা, মিশুক চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা রেকারের শহিদুল্লাহ,হাসান,শফিক,আবুল বাশার স্যার কে টাকা দিয়েই শহরে প্রবেশ করেন।তাদের গাড়ি আটকানোর মত কেও নেই।
ট্রাফিক বিভাগের হাসান শহরের বিভিন্ন অলি গলি থেকে গাড়ি ধরে নিয়ে এসে রেকার বিল করেন,এই হাসানের ভয়ে শহরের মিশুক চালকরা তার সাথে মাসোয়ারার বিনিময়ে শহরে প্রবেশ করে থাকেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রিকশা গ্যারেজের একজন মালিক বলেন, তাঁদের রিকশাগুলোকে যাতে রেকার বিল না করা হয়, সে জন্য মৌখিক চুক্তি অনুযায়ী নিজেরাই মাসে কিছু টাকা পুলিশকে দেন তাঁরা।