নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে হট্টগোলসহ হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সম্মেলনের চেয়ার ভাঙচুর করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে সম্মেলন পণ্ড হয়ে যায়।
শনিবার সন্ধ্যায় বক্তাবলীর রাজাপুর আজিজ মার্কেটে আয়োজিত সম্মেলনে এ ঘটনা ঘটে। সম্মেলনে ভোটাভোটির শুরুতে সভাপতি প্রার্থী শফিক মাহামুদের সমর্থক দিল মোহাম্মদ দিলুন অন্য সভাপতি প্রার্থী আবুল হোসেন প্রধানের সমর্থকদের উদ্দেশে উস্কানিমূলক আচরণ করায় এ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
পরে দুই পক্ষকে নিরব থাকার জন্য ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী মাইকে ঘোষণা দেয়ার পরও নিরব না থেকে দুই পক্ষের লোকজন আরো উত্তেজিত হয়ে উঠে। এরপর শুরু হয় হাতাহাতি এবং চেয়ার ছোড়াছুড়ি। একপর্যায়ে কাউন্সিলররা সম্মেলন থেকে ছুটোছুটি শুরু করে স্থান ত্যাগ করেন।
জানা যায়, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শুরুতেই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা তাদের নাম প্রস্তাব করেন। পরে ভোটাভোটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে ভোট গ্রহণ চলে। একপর্যায়ে সভাপতি প্রার্থী শফিক মাহামুদের সমর্থক দিল মোহাম্মদ দিলুন, মহিউদ্দিনসহ আরো কয়েকজন আবুল হোসেন প্রধানের সমর্থকদের উদ্দেশে খারাপ মন্তব্য করতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে হইচই শুরু হয়। এ সময় একে অপরকে ঘায়েল করার জন্য গালমন্দ করতে থাকেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়।
এ সময় শওকত আলী মাইকে সবাইকে নিরব থাকার জন্য বললেও শফিক মাহামুদের সমর্থকেরা নিরব না থেকে আরো উত্তেজিত হয়ে উঠে। এ সময় দিলুনের বেশি বাড়াবাড়ি দেখতে পেয়ে শওকত আলী দিলুনকে সাবধান হয়ে যাওয়ার জন্য বলার পর শুরু হয় উত্তেজনা। দুই পক্ষের মধ্যে চলে হাতাহাতি এবং ধাক্কাধাক্কি। পরে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা ছুটোছুটি করে স্থান ত্যাগ করেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিকের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। পরে সম্মেলন স্থগিতের ঘোষণা দেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল।
সভাপতি প্রার্থী শফিক মাহামুদ বলেন, আবুল হোসেন প্রধানের সমর্থকরা কাউন্সিলরদের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করলে আমার লোকজন বাধা দিতে গেলে একটু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। কিন্তু পরে শওকত চেয়ারম্যান উস্কানিমূলক কথা বলে সম্মেলন বিশৃঙ্খলা আরো বাড়িয়ে দেন।
অন্য সভাপতি প্রার্থী আবুল হোসেন প্রধান বলেন, শফিক মাহমুদের নিশ্চিত পরাজয় ভেবে তারই সমর্থিত দিলুনসহ আরো লোকজন পরিকল্পিতভাবে সম্মেলনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। দলের সিনিয়র নেতাদের সামনে উশৃংখল কথাবার্তা বলে দলের লোকদের উত্তেজিত করে সম্মেলন পণ্ড করে দেয়।
ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী বলেন, সম্মেলন শুরুতেই শফিক মাহমুদসহ তার লোকজন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। দলের সিনিয়র নেতাদের সামনে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে। যারা সম্মেলনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশেষকরে শফিক মাহমুদ, দিল মোহাম্মদ দিলুন, মহিউদ্দিনসহ আরো কয়েকজন সম্মেলনে বিশৃঙ্খলা করে সম্মেলন পণ্ড করে দেন।