নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার ছাত্তার জুট মিল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও অবরোধ করেছে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
২৩ নভেম্বর বুধবার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী হানিফ মিয়ার আত্মহত্যার প্ররোচনায় শিক্ষার্থীরা ঢাকা-রূপসী-কাঞ্চন সড়কের ত্রিশকাহনীয়া এলাকায় অবরোধ করে তারা এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে।
মানববন্ধনপূর্বক সভায় সভাপতিত্ব করেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়াকুব হোসেন। সভায় বক্তব্য রাখেন সাত্তার জুট মিল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিয়াদ মিয়া, মোরসালিন, ইমাম হোসেন, সিয়াম হোসেন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা কথা বলতেই পারে। সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলার অপরাধে নবম শ্রেণির ছাত্র হানিফ মিয়াকে জীবন দিতে হয়েছে। হানিফ মিয়ার আত্মহত্যার প্ররোচনা করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ। অন্যায়ভাবে হানিফ মিয়াকে বেত্রাঘাত ও অপমান করা হয়েছে। আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে।
জানা গেছে, ছাত্তার জুট মিল উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীর সঙ্গে বিদ্যালয়ের বারান্দায় দাঁড়িয়ে কথা বলার অপরাধে গত ২১ নভেম্বর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ সকল ছাত্র-ছাত্রীকে ডেকে এনে নবম শ্রের্ণির ছাত্র হানিফ মিয়াকে অপমান ও বেত্রাঘাত করে। পরে প্রধান শিক্ষকের অপমান সইতে না পেরে হানিফ মিয়া (১৬) বাড়িতে গিয়ে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করে। নিহত হানিফ মিয়া হাটাবো ত্রিশকাহনীয়া এলাকার আজাহার মিয়ার ছেলে।
এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, শিক্ষকরা শাসন করতেই পারে। তবে হানিফ মিয়া এতটা অভিমান করবে সেটা আমার জানা ছিল না।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ বলেন, শিক্ষার্থী হানিফ মিয়ার লাশ ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।