নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ আদালত এলাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা জাকির খানের মুক্তির দাবীতে ব্যাপক মিছিল শোডাউন করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকারের ছোট ভাই সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় এদিন আদালতে হাজির করা হয় জাকির খানকে।
রোববার (২০ নভেম্বর) আদালতে হাজির করা হয় জাকির খানকে।
এদিকে জাকির খানের হাজিরার খবরে সকাল থেকেই আদালতপাড়ার আশেপাশে এলাকায় অবস্থান নেন জাকির খানের সমর্থকেরা। দুপুর বারোটার দিকে জাকির খানকে বহনকারী প্রিজনভ্যানটি কোর্ট প্রাঙ্গনে প্রবেশের সাথে থাকে স্লোগান দিতে থাকেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
এসময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি নেতা পারভেজ মল্লিক বলেন, বেগম জিয়া আজ অঘোষিত কারাগারে বন্দি। তারেক রহমানের অপেক্ষায় আজ আমরা অপেক্ষা করছি। গণমানুষের নেতা এদেশে ফিরে আসবেন। চাল, ডাল, কিনতে গেলে আর কোন মা চোখ পানি ফেলবে না। শহীদ জিয়াউর রহমানের উত্তরসূরী হিসেবে তিনি এদেশের মাটিতে লাল সবুজের পতাকাকে উত্তোলিত করবে। যেভাবে তার বাবা ১৯৭১ সালে সেক্টর কমান্ডারের নেতৃত্ব দিয়েছেন। সেভাবে তার আহ্বানে আবারও একটি মুক্তিযুদ্ধে জাকির খানের নেতৃত্বে আমরা সকলে উপস্থিত থাকবো।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক জিয়া বলেন, আমরা ছিয়ানব্বই সাল থেকেই দেখেছি জাকির খানকে কারাগারে বন্দি করে রাখতে। তার অনেক জনপ্রিয়তা নারায়ণগঞ্জে। তরুণ প্রজন্মের অনেকে তাকে দেখেনি কিন্তু তার নামের ওপর মিছিল মিটিংয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আজকের মামলাটা হল আমাদের তৈমূর সাহেবের ছোট ভাইয়ের হত্যা মামলার হাজিরা। দলীয়ভাবেও জাকির খানের নামে ষড়যন্ত্র হয়েছে। একটা মানুষ তো দশ জনের কাছে সমানভাবে ভাল হতে পারে না। দেশের বাইরে থাকা অবস্থায় সে এই মামলার আসামি হয়েছে এবং আসামি গিয়াসউদ্দিন এ মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও জাকির খান এ মামলা থেকে অব্যাহতি পাননি। তারা জানে জাকির খান মাঠে থাকলে তারা কাছে ঘেঁষতে পারবে না। জাকির খানকে তারা মেনে নিতে পারেনি