নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, এ দলের মালিক হলো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি আমাকে আহ্বায়ক ও এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে সদস্য সচিব করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দিয়েছিলেন।
এই কমিটিতে বন্দরেরও অনেককে রাখা হয়েছিল। অনেকেও এখানে উপস্থিত আছেন। এবং যারা আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে নৌকা ও লাঙ্গল মার্কার পক্ষে ছিল তাদের অনেককেও পদ দেওয়া হয়েছিল। তারাই এই প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি করেছিল। তাদেরকে কিন্তু কমিটিতে রাখা হয়েছিল কিন্তু তারা পদত্যাগ করেছিলেন।
তারা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছিল তারপরও আমরা চেয়েছিলাম আপনাদের নিয়ে বিএনপি করতে চাই। কারন আমরা চাই গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে। এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র একটি শক্তিশালী ইউনিট কমিটি গঠন করতে। কিন্তু তারা সেটা চায় না। তারা চায় সরকার দলীয়দের সাথে আঁতাত করে কাজ করতে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের করাকরি নির্দেশ এই ধরনের লোকদেরকে বিএনপিতে আর প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। যারা এই বিএনপির সাথে রয়েছেন এবং বিএনপি করতে গিয়ে হামলা মামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদেরকেই আমরা এই কমিটিতে প্রশ্রয় দিব এবং স্থান দিব। তারাই জিয়াউর রহমানের দলের সম্পদ তারেক রহমান তাদেরকেই চিনবে। কোন দালালকে আর চিনবে না ইনশাল্লাহ।
শুক্রবার ( ১৮ নভেম্বর ) সকাল দশটায় বন্দর উপজেলাধীন ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনের লক্ষ্যে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।
তিনি বলেন, আজকের ধামগড়ে বিএনপির কর্মী সম্মেলনকে করতে গিয়ে আমাদের কত ধরনের বাধা ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এ ধরনের বাধা সত্যিই কল্পনা করা যায় না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়নি। আমরা জানি এটার পিছনে কারা।
যারা লাঙ্গল মার্কা ও নৌকা মার্কা বিএনপি করে এবং দিনে বিএনপি রাতে নৌকা ও লাঙ্গলের পক্ষে কাজ করে তারাই প্রশাসনের সরকারি দলের লোকদের দিয়ে এ সকল করিয়াছেন। যাতে করে আমরা আজকে ধামগড়ে এই কর্মী সম্মেলন না করতে পারি। এটা কি কোন গণতান্ত্রিক আচরণ করেছেন। আজকে যারা এগুলো করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে রাখুন।
তিনি আরও বলেন, আমরা কেউ কিন্তু ভালো নেই। হঠাৎ করে গতকাল চিনি এবং তেল ও চালের দাম বৃদ্ধি করে দিয়েছে সরকার। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকায় সময় কিন্তু নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের এত মূল্য ছিল না। বর্তমানে দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
এদেশের প্রধানমন্ত্রী কয়েকদিন আগে বলেছিলেন যে এদেশে একটি দুর্ভিক্ষের প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে। এই দুর্ভিক্ষে কিন্তু জনগণের জন্য না। এই দুর্ভিক্ষ হল আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপি ও নেতাদের জন্য। তারা কি করেছে তারা এদেশের মানুষের সম্পদ চুরি করে বিদেশে পাচার করেছে। এর কারণে এদেশে ডলারের সংকট খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।
আমরা বলতে চাই এদেশের কোটি কোটি লক্ষ লক্ষ টাকা যে পাচার হয়েছে তা ফিরিয়ে আনা হোক। আপনাদের দুর্নীতি বন্ধ করুন তাহলে এদেশের অর্থনীতি সংকট ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের মূল্য কমে আসবে। আসলে আওয়ামী লীগ জনগণের শান্তি চায় না।
যতবারই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে দেশের মানুষদেরকে দুর্ভিক্ষ উপহার দিয়েছেন। এদেশের জনগণ আর আওয়ামী লীগের সরকারকে দেখতে চায় না। তাই বিএনপি গণতান্ত্রিক আনন্দনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আগামী ১০ই ডিসেম্বর ঢাকা গণসমাবেশে আপনারা যোগদান করবেন এবং এই সরকারকে বিতাড়িত করবেন।
ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সমন্বয়ক জাহিদ খন্দকারের সভাপতিত্বে ও সহ- সমন্বয়ক মো. মহসিনের সঞ্চালনায় কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এইচ মামুন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, হাবিবুর রহমান দুলাল, মাসুদ রানা, শাহিন আহমেদ, ফারুক হোসেন। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপি নাজমুল হক রানা, বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব শাহাদুল্লাহ মুকুলসহ ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।