সকাল নারায়ানগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন কাশিপুর এলাকার যুবলীগ নেতা আনিসুর রহমান শ্যামলকে নারী ও শিশও নির্যাতন মামলায় গ্রেফতার করেছে ফতুলা মডেল থানা পুলিশ। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কাশিপুর খিলমার্কেট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। শ্যামল কাশিপুর ইউনিয়ণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। তিনি কাশিপুর খিলমার্কেট এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে। সকাল নারায়ানগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন কাশিপুর এলাকার যুবলীগ নেতা আনিসুর রহমান শ্যামলকে নারী ও শিশও নির্যাতন মামলায় গ্রেফতার করেছে ফতুলা মডেল থানা পুলিশ। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কাশিপুর খিলমার্কেট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। শ্যামল কাশিপুর ইউনিয়ণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। তিনি কাশিপুর খিলমার্কেট এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে।
এঘটনায় কিশোরীর মা মোসাঃ ইয়াসমিন দুজনের নাম উলেখ করে ২ থেকে ৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে। যার মামলা নং ৩৫।
মামলায় উলেখ্য করা হয়, ১৪ বছর বয়সের কিশোরী বাড়ির কাছে আরেকটি বাড়িতে আরবি পড়েন। তার আসা যাওয়ার পথে খিলমার্কেট এলাকার মৃত মনির হোসেনের ছেলে তুর্য (১৯) পথরোধ করে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। তার প্রেমের প্রস্তাব ওই কিশোরী প্রত্যাখান করে।
মামলার এজহার আরো বলা হয়, ১৯ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় আরবি পড়তে যাওয়ার পথে কিশোরীকে রাস্তা থেকে তুলে তুর্য তাদের ফ্ল্যাট বাসায় নিয়ে যায়। তুর্য ও কিশোরীকে ফ্ল্যাটে রেখে বাইরে থেকে দরজা তালা দিয়ে তার সহযোগিরা চলে যান। এর মাঝে কিশোরীকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেন তুর্য। কিশোরী যথাসময় বাসায় না ফেরায় তার বাবা মা বিভিন্ন স্থানে খোঁজা খোজি করে। পরবর্তিতে তাকে না পেয়ে রাত ৯টায় দিকে তুর্যের বাড়ির দিকে যান কিশোরীর বাবা মা। এসময় কিশোরীর বাব মা আসা টেরপেয়ে তুর্যের ২/৩ জন সহযোগী পালিয়ে যায়। তখন ভিতর থেকে তারা মেয়ের কান্নার চিৎকার পান। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় কিশোরীকে উদ্ধার করেন তার বাবা মা।
ইতি মধ্যে যুবলীগ নেতা আনিছুর রহমান শ্যামল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন । এবিষয়ে কিশোরীর বাবা মা কাশিপুর ইউনিয়ণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনিসুর রহমান শ্যামলের নিকট র্ধষণ কারী তুর্যের বিচার দাবি করেন। এতে শ্যামল উল্টো কিশোরীর বাবা-মাকে গালি গালাজ করে ভয়ভীতি দেখান। তিনি বিচার করার কথা বলে কিশোরীর বাবা মাকে তার কার্যালয়ে দীর্ঘ সময় বসিয়ে রাখেন। এদিকে ধর্ষক তুর্য পালিয়ে যান। পরে বিষয়টি কিশোরীর বাবা মা টের পেয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। যা পরবর্তিতে মামলা হিসেবে রুজু করা হয়। এদিকে, শ্যামলকে গ্রেফারের পর সকাল থেকেই থানার আশপাশে অবস্থান নিয়েছে শ্যামলের বাহিনী।
এ সময় সাংবাদিকরা ধর্ষণের আসামি পালিয়ে যেতে সহযেগিতার ঘটনায় শ্যামলের ছবি উঠাতে চাইলে তার বাহিনী সাংবাদিকদের বাধা প্রদান করে। একই সাথে সাংবাদিকদের ক্যমেরা কেরে নিতে চান। এই ঘটনায় শ্যামল বাহিনীর লিটন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে যুবলীগনেতা আনিছুর রহমান শ্যামলকে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট মাহমুদুল মহসিনের আদালতে উঠানো হয়। পরে তিনি শুনানী শেষে তার জামিন না মঞ্জুর করেন । ফতুলা মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আসলাম হোসেন জানান, আমরা একজন অপরাধীকে গ্রেফতার করেছি। তিনি একটি ধর্ষণ ঘটনার বিচার করে ধর্ষককে পালিয়ে পেতে সহযোগিতা করেছে। ফলে ধর্ষকের সহায়তা করার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে কোর্টে চালান করা হয়েছে।