নারায়ণগঞ্জের বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রত্যেক এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলছে। চালকরা বলছেন, পুলিশ আটক করলে মালিকরা আবার ছাড়িয়ে এনে রাস্তায় নামাচ্ছেন এসব রিকশা।
পুলিশ বলছে, এত রিকশা আটকে রাখার মতো জায়গা তাদের নেই। তাদের জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া ছাড়া উপায় নেই।
হাইকোর্ট, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিটি করপোরেশনের নিষেধাজ্ঞার পরও স্থানীয় নেতা ও পুলিশের যোগসাজশে নারায়ণগঞ্জে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চালক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিভিন্ন অভিযানে এই ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলো আটক করা হলেও নির্দিষ্ট টাকায় তা ছাড়িয়ে এনে আবার সড়কে নামাচ্ছেন মালিকরা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নারায়ণগঞ্জের দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ এই ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলো। কিন্তু নজরদারির অভাবে নারায়ণগঞ্জ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই অবৈধ যান।
নারায়নগঞ্জের পাড়া-মহল্লা অলি-গলিতে এসব যানের বেপরোয়া চলাচলে বাড়ছে দুর্ভোগ-দুর্ঘটনা। অবৈধ রিক্সা,মিশুক ও অটো যানকে অবৈধ ঘোষণা করা হলেও লাইসেন্স না থাকায় কথিত কিছু সাংবাদিকের নামে হরহামেশেই চলাচল করছে এসব যানবাহন।
অপরদিকে লক্ষ্য করা যায়,স্টিকার লাগানো গাড়ি আটক করছে ট্রাফিক পুলিশ।তারা সাধারন মিশুক চালকদের মারধর সহ টোকেন ছাড়া রেকার বিল রেখে গাড়ি ছেড়ে দিচ্ছে।এছাড়া দৈনিক কয়টি গাড়ি রেকারে আটক করা হলো এবং কয় টাকা বিল করা হলো এইবিষয়ে গনমাধ্যম কর্মীরা জানতে চাইলে তাদের বলতে অনীহা জানান।
এইসব অবৈধ রিক্সা, মিশুক চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা রেকারের শহিদুল্লাহ,হাসান,শফিক,আবুল বাশার স্যার কে টাকা দিয়েই শহরে প্রবেশ করেন।ট্রাফিক বিভাগের পুলিশরা শহরের বিভিন্ন অলি গলি থেকে গাড়ি ধরে নিয়ে এসে রেকার বিল করেন,এই ট্রাফিক পুলিশের ভয়ে শহরের মিশুক চালকরা তার সাথে মাসোয়ারার বিনিময়ে শহরে প্রবেশ করে থাকেন।