১২নং ওয়ার্ডের ডনচেম্বার এলাকায় সম্প্রতি চুরির ঘটনা বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে বেশ কয়েকটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
ডনচেম্বার এলাকায় দিন দিন ছিচকে চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন নির্মান সামগ্রী,ব্যবহৃত তৈজসপত্র,হাস-মুরগী ও এ সমস্ত ছিচকে চোরের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
বর্তমানে রাতে পুলিশী টহল না থাকায় চোরের দল কৌশল পাল্টেছে চুরির। দিনের বেলা কিংবা রাতের শুরুতেই বিভিন্ন বাসা থেকে মোবাইল ফোন, কাপড়ছোপড় ও দামি জুতা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় চায়ের দোকান রয়েছে। সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত এসব চায়ের দোকানে চোরের দল আড্ডা দিয়ে থাকে এবং চুরির প্ল্যান করে। চায়ের দোকানগুলোতে পুলিশী অভিযান না থাকায় এসব অপরাধ হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিনই শহরের কোথাও না কোথাও চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে। ইদানিং শহরের বেশ কিছু এলাকার হেরোইন ও মাদক সেবীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। শহরবাসীর ধারণা, মাদকসেবীরাই এ ধরনের চুরির ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। এলাকার কিছু চোরের শেল্টারদাতাদের ভয়ে সাধারন মানুষ থানায় অভিযোগ করতে ভয় পান ও সুষ্ঠুভাবে বিচার পান না।
১২নং ওয়ার্ডের ডনচেম্বার এলাকায় রাতে বেশ কিছু দারোয়ান থাকার পরও কিভাবে চোরেরা এই চুরি করছে তা এলাকাবাসীর অজানা।
একের পর এক এলাকায় চুরির ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে এক ধরনের ভীত সঞ্চার কাজ করছে। এলাকাবাসী র্যাব,ডিবি,পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষন করছেন।