যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেছেন, এই শিশুরা বেশ সাহসী। তাদের কেউই টিকা নিতে ভয় পাচ্ছে না।
নারায়ণগঞ্জে করোনা টিকা কার্যক্রমের এই সফলতা দেখতে পেরে এবং আমেরিকা থেকে এখন পর্যন্ত দেওয়া প্রায় ১০ কোটি করোনা ভ্যাকসিন দিতে পেরে আমরা গর্বিত ও আনন্দিত। বাংলাদেশ অভূতপূর্বভাবে ৭৫ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনতে পেরেছে।এটি বিশ্বে সর্বোচ্চ।
বুধবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের চাষাঢ়া বঙ্গবন্ধু সড়কের নারায়ণগঞ্জ কালেক্টরেট প্রিপারেটরি স্কুলে শিশুদের করোনা টিকাদান কর্মসূচি পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৫০ বছরের বন্ধুত্বের এই সম্পর্কে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। এখানে এসে শিশুদের এভাবে টিকা নিতে দেখতে পেরে আমি সত্যি সত্যিই আনন্দিত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভি, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ, নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস, ইউএসএআইডি, জেলা প্রশাসন, ও ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ সময় মেয়র আইভী বলেন, এখনও ভাসমান জনগোষ্ঠীসহ যারা টিকা দেয়নি তাদের খুঁজে বের করা হবে এবং টিকা দেওয়া হবে। আশা করি, এভাবে শতভাগ টিকা দেওয়া সম্পন্ন হবে। সিটির বাইরে থেকেও অনেকে এসে টিকা দিচ্ছে অনেকে।
প্রসঙ্গত, ইউএসএআইডির অর্থায়নে ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সহায়তায় কমিউনিটি হেলথ সিস্টেম স্ট্রেনদেনিং (সিএইচএসএস) প্রকল্পের আওতায় নারায়ণগঞ্জে শিশুদের জন্য করোনা টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে ব্র্যাক।