রূপগঞ্জে রাশেদ (২৫) নামে এক চোরাই তেল ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন। সোমবার (৭ নভেম্বর) রাত ১টার দিকে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে তার মৃত্যু হয়। তবে পুলিশ বলছে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাত নয় ঘটনাটি পারিবারিক ঘটনা। তাদের মধ্যে টাকা—পয়সার লেনদেন ছিলো, তা নিয়েই এ হত্যাকান্ডের সূত্রপাত।
নিহত রাশেদ ভোলা জেলার লালমহন উপজেলার ধলীগৌর নগর এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে। তিনি উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের আধুরীয়া স্ট্যান্ডের পাশেই চোরাই তেলের ব্যবসা করতেন। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান তিনজনকে সন্দেহজনকভাবে আটক করেছেন। তদন্তের স্বার্থে তাৎক্ষনিক আটককৃতদের নাম পরিচয় জানায়নি পুলিশ।
জানা গেছে, সোমবার মধ্য রাতে একদল ছিনতাইকারী রাশেদের দোকানে এসে টাকা চাইলে তিনি দিতে অস্বীকার করায় ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা রাশেদকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ডিকেএমসি হাসপাতালে নিয়ে যায় পরে তাকে ঢাকা কলেজ মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তেল ব্যবসায়ী কামাল জানান, হত্যাকারীরা সবাই ছিনতাইকারী। তারা সবসময় ছিনতাই করে টাকা—পয়সা লুটে নেয়। না দিতে চাইলে মারধর করে। রাত ১০টার পর থেকেই তাদের আনাগোনা বেশি দেখা যায়। আমরা বিদেশী মানুষ তারা কারা তাদেরকে চিনি না।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, পুলিশের সামনেই ভূলতা হইতে গোলাকান্দাইল পর্যন্ত রাতভর থাকে ছিনতাইকারী ও পতিতার দখলে। এতে সাধারণ মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। দোকানপাট খোলা থাকলেও পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে।
এ বিষয়ে জানতে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএফএম সায়েদ এর মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করনে নি। তবে চাইলে ভূলতা ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ছুরিকাঘাতে মৃত্যুর ঘটনাটি সঠিক কিন্তু ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে না।
ঘটনাটি পারিবারিক ঘটনা। তাদের মধ্যে টাকা—পয়সার লেনদেন ছিলো, তা নিয়েই ঘটনার সূত্রপাত। লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) মো. আবির হোসেন জানান, গত রাতে ৪/৫ জল ব্যক্তি তার দোকানে তেল কিনতে আসে। তেল দেয়ার পর দাম নিয়ে রাশেদের সাথে তাদের বাকবিতন্ডা হয়।
এক পির্যায়ে তাদের মধ্যে কেউ সাথে থাকা ছুরি দিয়ে রাশেদকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
পরে আহত রাশেদকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।।এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দেয় নি। তবে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।