নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নারায়নগঞ্জের প্রধান সড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল করছে। ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে।ঝুঁকি এড়াতে সড়কে তিন চাকার অটোরিকশা না চালাতে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা থাকার পরো সেই নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অটোরিকশা চালিয়েই যাচ্ছেন চালকরা।
একজন মানুষের কেবল সময় অপচয় নয়, আর্থিক ও স্বাস্থ্যগত ক্ষতির পরিমাণও বাড়িয়ে দিচ্ছে নারায়নগঞ্জের অবৈধ ব্যাটারিচালিত মিশুক ও অটো। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে শুধুমাত্র লোক দেখানো অভিযানেই মনযোগী দায়িত্বপ্রাপ্তরা। একদিকে ফুটপাত অবৈধ দখল, অপরদিকে নারায়নগঞ্জের জনসমাগম সড়কগুলোর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত অবৈধ মিশুক ও অটোর দীর্ঘ লাইন, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং সবকিছু মিলিয়ে যে অনেকটা অসহায় নারায়নগঞ্জবাসী।
অপরদিকে লক্ষ্য করা যায় নারায়নগঞ্জের কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ সাধারন জনগনের মিশুক ও অটো ধরে রেকার বিল করলেও ছেড়ে দিচ্ছে স্টিকার লাগানো গাড়িগুলো। এতে একপ্রকার ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছে সাধারন মিশুক ও অটোচালকরা।
জানা যায় কতিপয় কিছু সাংবাদিকের সাথে পুলিশদের চুক্তি থাকে যে, তাদের স্টিকার লাগানো থাকলে ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি না ধরার আশ্বাস দিয়ে থাকেন।
জানা গেছে, ৩ চাকার রিক্সাকে বলা হয় মিশুক বা রিক্সা। প্রতিটি রিক্সায় ১২ ভোল্টের ৪টি ব্যাটারি থাকে। ৪ চাকার ইজিবাইক ও টমটমের মধ্যে থাকে ১২ ভোল্টের ৫টি ব্যাটারি। প্রতিদিন একটি রিক্সা, টমটম ও ইজিবাইককে অন্তত: ৭ থেকে ১০ ঘণ্টা বৈদ্যুতিক চার্জ দিতে হয়। পুরাতন হওয়ার পর একই যানকে চার্জ দিতে হয় দিনে ২ বার। আর প্রতি সেট ব্যাটারি চার্জের জন্য গড়ে ৯০০ থেকে ১১০০ ওয়াট হিসেবে পাঁচ থেকে ছয় ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়। এই হিসাব অনুযায়ী কেবলমাত্র নারায়ণগঞ্জ শহর ও এর আশপাশের এলাকায় চলা এ সকল যান যে পরিমাণ বিদ্যুৎ গিলে খাচ্ছে তাতে অনায়াসেই বর্তমান বিদ্যুৎ সংকটকে আরও প্রকট করে তুলবে।
নারায়ণগঞ্জ সচেতন মহলের দাবি রেকারে যেই সকল গাড়ি আটক করা হয় সেই সকল গাড়ির রেকার বিল সরকারি খাত পর্যন্ত পৌছায় নাকি সেই জন্য রেকারে সিসিটভি স্থাপন করা হোক।