ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় পুলিশ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, মাদকসহ যে কোন অপরাধ মোকাবেলায় ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করছে। কেউ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটনার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে দৃঢ় কন্ঠে উচ্চারণ করেন আইজিপি।
আইজিপি আজ (০৫ নভেম্বর ২০২২) সকালে সিলেটে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালনে পুলিশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্বাচনকালে নির্বাচন কমিশনের বিধি-বিধান অনুযায়ী পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।
আইজিপি বলেন, বর্তমানে পুলিশের জনবল বৃদ্ধি পেয়েছে, পুলিশকে আধুনিক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ফলে পুলিশের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। তিনি বলেন, একটা সময় ছিল যখন কোন মামলার ‘ক্লু’ বের করা ছিল অনেক কঠিন। বর্তমানে প্রযুক্তির উৎকর্ষতা, প্রশিক্ষণ এবং জনবল বাড়ার কারণে মামলা তদন্তে ব্যাপক সফলতা এসেছে। এক্ষেত্রে ভবিষ্যতে আরো সাফল্য আসবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, প্রবাসীদের মাধ্যমে দেশে রেমিটেন্স আসে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রবাসীদের প্রতি সহানুভূতিশীল। তাদের কল্যাণে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে একটি ডেস্ক রয়েছে। এখানে ২৪ ঘন্টা হট লাইন চালু রয়েছে। প্রবাসীরা তাদের যে কোন সমস্যায় যোগাযোগ করলে আমরা তাকে সহযোগিতা করে থাকি। এছাড়া, প্রবাসীদের আত্মীয়-স্বজন জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরে যোগাযোগ করলেও সেবা দেয়া হয়।
মাদক সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, মাদক একটি সামাজিক সমস্যা। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের আভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। জেলখানায় বেশিরভাগ আসামিই মাদক মামলার। তিনি বলেন, মাদকের বিস্তার রোধে আমরা গণমাধ্যমসহ সমাজের সকলের সহযোগিতা পাচ্ছি। এ প্রসঙ্গে তিনি সন্তান কোথায় যায়, কার সাথে মিশে সে সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখার জন্য পিতা-মাতার প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা মাদক সমস্যা সমাধানেও সক্ষম হবো।
পরে আইজিপি প্রধান অতিথি হিসেবে সিলেট রেঞ্জ, সিলেট জেলা পুলিশ, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ ও সিলেটস্থ সকল পুলিশ ইউনিটের সদস্যগণের সাথে বিশেষ কল্যাণ সভায় মিলিত হন।
সভায় সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার নিশারুল আরিফ, এপিবিএন অ্যান্ড স্পেশালাইজড ট্রেনিং সেন্টার, খাগড়াছড়ির ডিআইজি পরিতোষ ঘোষ, ৭ম এপিবিএন সিলেটের সিও মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম, আরআরএফ সিলেটের সিও হুমায়ুন কবির, র্যাব-৯ এর সিও উইং কমান্ডার মোঃ মমিনুল হকসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি সিলেটে ‘বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল’ এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্মারক ‘স্মৃতি-৭১ এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তিনি সিলেট বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলা এবং শহীদ পুলিশ পরিদর্শক চৌধুরী মোহাম্মদ আবু কয়ছর বিপিএম ভবন উদ্বোধন করেন। তিনি পুলিশ লাইন্সে কৃষ্ণচূড়া ও সাতকরা গাছের চারা রোপন করেন।
এছাড়া, আইজিপি গতরাতে সিলেট শহরে কুশিয়ারা কনভেনশন হলে সুধীজনের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।