নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ২নং গেইট রেললাইনের উপর মাদক ব্যবসায়ী বিউটি অভিনব কায়দায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। পুলিশ বক্সের দশ গজের মধ্যে প্রকাশ্যেই হিরোইন, গাজা বিক্রয় করলেও কোনরকম প্রশাসন তোয়াক্কা না করে বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছেন অবৈধ মাদক ব্যবসা।
মাদক মামলার আসামী বিউটি বয়সের ভারে নুয্য হলেও মাদক ব্যবসায় নাই তার কোন ক্লান্তি। সন্ধ্যা অবধি গভীর রাত পর্যন্ত চলে মাদক হাটের বেচাঁ-কেনা। একাধিক সুন্দরী মেয়ে ব্যবহার করে অভিনব কৌশল অবলম্বন করে চালিয়ে যাচ্ছেন রমরমা ব্যবসা। সরেজমিনে তদন্তে দেখা যাচ্ছে সুন্দরী মেয়েরা রেললাইনের উপর ফিশ প্লেটে বসে হিরোইন, গাজা, বিক্রয় করছে। সদর থানা এবং টানবাজার ফাড়ির পুলিশ তাদের সামনেই হেটে যাচ্ছেন।
মনে হয় সরকার অনুমোদিত কোন ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। পুলিশ-মাদক ব্যবসায়ী খেলা। বিউটির দলে রয়েছে ডজন খানেক নারী মাদক ব্যবসায়ী। তাদের মধ্যে অন্যতম ১) মোরনী, স্বামী- সোহেল, মাতা- পাখি, ২) টুকু, স্বামী- ফারুক, ৩) সাবিনা, মাতা- পাখি, ৪) তাহমিনা, পিতা- কালাম, মাতা- তাসলী, ৫) দুলালী, পিতা- দুলাল মিয়া, মাতা- তাসলী, ৬) বিল্লাল, পিতা- দুলাল, মাতা- তাসলী, ৭) রুবেল, পিতা- ফকির চাঁন, মাতা- শাহনাজ, ৮) মাহমুদা, স্বামী- রুবেল, ৯) সৌরভ,১০)কামাল (প্যাথারিন)১১)দিপু।
শহরের ২নং রেল গেইট থেকে নন্দীপাড়া,উকিলপাড়া,গলাচিপা মোড় পর্যন্ত চলছে বিউটির মাদক ব্যবসা।
এই মাদক বিক্রেতারা সবাই বিউটির নিকটাত্মীয়। রাতে মাদক এই জায়গায় বিক্রয় করলেও তাদের প্রত্যেকের বাসা অন্যত্র। ড্রেস, মেকাপ, চাল-চলন দেখে বুঝার কোন উপায় নেই তারা মাদক বিক্রেতা। কিন্তু বিগত আমলে মাদক বিরোধী অভিযানে সবাই একাধিক বার গ্রেপ্তার হয়ে মাদক মামলায় কারাবরণ করেছেন। তাই তারা শরীরে অল্প মাদক বহন করলেও মূল চালান রাখেন অন্যত্র সরিয়ে। বিক্রয় করেন, আবার আনে, যাতে করে গ্রেপ্তার হলেও আলামত অল্প পাওয়া যায়। আবার নারী মাদক ব্যবসায়ী হওয়ার কারনে ইচ্ছে করলেও মহিলা পুলিশ ছাড়া তাদের দেহ তল্লাশী করা সম্ভব হয়না।
কিছুদিন পূর্বে অভিযান পরিচালনা করার পরো থেমে নেই বিউটির মাদক ব্যবসা।
আর প্রতিটি পুলিশ দলে মহিলা পুলিশও অনেক সময় থাকে না। যার কারনেই যুগ যুগ ধরে চালিয়ে আসছে বিউটির মাদক ব্যবসা। মাঝে মধ্যে কোনরকম অভিযান পরিচালনার কথা থাকলে বিউটির কাছে সে খবর আগে ভাগেই চলে আসে। প্রশাসনের কিছু কতিপয় সদস্য বিউটির কাছে মাসিক টাকা নেওয়ার কারনে পূর্বেই জানিয়ে দেয় “অভিযান পরিচালনা করা হবে, ব্যবসা বন্ধ রাখো।
দুই/এক দিন পর আবার ঠিক হয়ে গেলে জানিয়ে দিবো। তখন বিক্রয় শুরু করবা”। বর্তমান দক্ষ পুলিশ সুপার গোলাম মোঃ রাছেল নারায়ণগঞ্জে যোগদানের পর মাদক এর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স এর নীতি ঘোষনা করলেও তেমন কোন উদ্ধার নেই বললেই চলে। মাদকে পুরো নারায়ণগঞ্জ ভাসলেও এরকম শত শত বিউটি মাদক মাফিয়া কারবারিরা রয়ে যাচ্ছেন ধরা ছোয়ার বাইরে। নেপথ্যের খলনায়কদের খুব শীঘ্রই গ্রেপ্তারের আওতায় আনা উচিত।
বিগত আমলে পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান কিছুটা প্রশ্নবিদ্ধ ছিলো। ধরি, ছাড়ি, বাণিজ্যে যাতে না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে জেলার প্রশাসনের উর্ব্ধতন কর্মকর্তাদের। কারন করোনার মহামারীর কারনে মাদক ব্যবসায়ীরা দেশব্যাপী কোনো অভিযান পরিচালনা না হওয়ার কারনে আর এই দূর্বলতাকে পুঁজি করে পুরো দেশ এখণ মাদকে ভাসছে। তাই অচিরেই নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান এবং ছিনতাইকারী কিশোর গ্যাং, যুবক গ্যাংদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা উচিত।
স্থানীয় থান ব্যবসায়ী এবং সাধারন জনগন জানান,দিন থেকে রাত পর্যন্ত মাদক ব্যবসায়ী বিউটির নেতৃত্বে সুন্দরী যুবতিদের দিয়ে রাতভর মাদক বিক্রি করান। পুলিশ,ডিবি,র্যাব এবং ম্যাজিস্ট্রেট যাতে অতিদ্রুত এই সকল মাদক ব্যবসায়ী কে ধরে আইনের আওতায় নিয়ে আসেন।