দেওভোগ এলাকায় এম এল এন সড়কের একটি বাড়িতে রোববার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ওই ব্যক্তি ৬৫ বছর বয়সী গোপাল কর্মকার। তার বক্তাবলীতে কামারের দোকান ছিল।
এ ঘটনায় ফতুল্লা থানায় গোপাল কর্মকারের স্ত্রী রানী কর্মকার বাদী হয়ে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়েছে যে, নিহত গোপাল কর্মকার ফতুল্লা মডেল থানার দেওভোগ এলাকায় এম এল এন সড়কের দৌলত খার বাড়ীতে স্ত্রী কে নিয়ে বসবাস করে আসছিলো। বক্তাবলী ফেরী ঘাট এলাকায় কামারের দোকান দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। আর্থিক অভাবের কারনে সে বিভিন্ন সমিতি থেকে কিস্তি নিয়েছিলো।
তা পরিশোধ নিয়ে সে হতাশ হয়ে পরেছিলো। রোববার সকাল আটটার দিকে নিহত গোপাল সরকার বাদীর নিকট থেকে বিশ টাকা নিয়ে বক্তাবলী কামারের দোকানে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়। বেলা ১২ টার দিকে সে বিষপান করে দোকানের পাশে অসুস্থ হয়ে পরলে আশাপাশের লোকজন তাকে সেখান থেকে শহরের জেনারেল(ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপ পরিদর্শক সোহাগ সাহা জানান, নিহত গোপাল কর্মকার ঋণেগ্রস্থ ছিলেন। এতে সে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পরেছিলেন। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, বিষপান করে সে আত্মহত্যা করেছে। এ বিষয়ে নিহতের স্ত্রী অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে।