নারায়ণগঞ্জে শিশু হত্যা সহ সকল হত্যাকান্ডের বিচার চেয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, শিশু হত্যা করা পৃথিবীর জঘন্যতম অপরাধ। শেখ রাসেলকে ও তার পরিবারকে যারা হত্যা করেছে তাদের প্রতি আমরা নিন্দা জানাই।
শেখ রাসেল হত্যাকান্ডের বিচার হয়েছে। আমরা চাই না, পৃথিবীর আর কোন পরিবারকে এভাবে হত্যা করা হোক, রাসেলের মতো শিশুকে হত্যা করা হোক। শিশুদের হত্যা করা জগন্য অপরাধ। নারায়ণগঞ্জে যত শিশুর হত্যাকান্ড হয়েছে, আমরা সেই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
শেখ রাসেলের হত্যার যেমন বিচার হয়েছে, ঠিক তদ্রুপভাবে আমরা চাই নারায়ণগঞ্জসহ পুরো বাংলাদেশে যত হত্যাকান্ড হয়েছে, তার বিচার যেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করেন।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বিকালে নগরের শেক রাসেল পার্কে অনুষ্ঠিত শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে শিশুদের মাঝে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, পুরষ্কার বিতরন করা হয়।
তিনি আরো বলেন, তার কাছে বিচার চাই , কারণ মানবতার জননী তিনি। তার কাছে বিচার চেয়ে বিচার পায় বলেই তার কাছে আমাদের অনেক বেশি দাবি। শেখ রাসেলের জন্মদিনে দাড়িয়ে দাবি করছি, নারায়ণগঞ্জের ত্বকী হত্যার বিচার করা হোক। এটা আলোচিত হত্যাকান্ড, এই শহরে এরকম অনেক হত্যাকান্ড ঘটেছে। আমরা চাই, এই হত্যাকান্ডগুলোর বিচার হোক।
‘শেখ রাসেল পার্ক’ প্রসঙ্গে মেয়র আইভী বলেন, শেখ রাসেলকে আমরা স্মরনীয় করে রাখতে চাই। আমরা না চাইলেও ইতিহাসের পাতায় তার ও তার পরিবারের সর্বোচ্চ স্থান রয়েছে। শেখ রাসেলকে আমরা স্মরণীয় করে রাখার জন্য আমরা এই পার্কের নাম দিয়েছি, ‘শেখ রাসেল পার্ক’।
আমি মাননীয় রেল মন্ত্রীর কাছে দাবি ও অনুরোধ করছি, আমরা এখানে নকশা অনুযায়ী পার্ক করেছি। নারায়ণগঞ্জ খেলাঘর মামলা করেছিল, এখানে যেন পার্ক করা হয়। সেই হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী , এবং অনেক কিছু কাগজপত্রের বিনিময়ে পার্ক করেছি।
আপনি আসেন পার্ক দেখে আপনি অনুমতি দিয়ে যান। আমরা রাসেলের জন্মদিনে দাড়িয়ে আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি আপনি শেখ রাসেলের নামে পার্কটি করে দেন। কারণ বঙ্গবন্ধু ট্রাস্ট থেকে এই পার্কের অনুমোদন দেওয়া আছে।
আমি জানি না, কেন কি কারণে অনুমতি দিতে চাচ্ছেন না। আপনি এখানে এসে আমাদের সাথে কথা বলেন, ছোট ছোট বাচ্চাদের জন্য এই পার্কটি শেখ রাসেলের নামে করে দেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী শহীদুল ইসলাম, ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর উদ্দিন মিয়া, ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিজানুর রহমান খান, ১৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোখলেসুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।