সারা দেশের ৬১টি অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেলা পরিষদে নির্বাচন। সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলার কথা। তিন পার্বত্য জেলা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচন আদালত কর্তৃক স্থগিত হওয়ায় ৫৭ জেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন। এতে ভোট গ্রহণ হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে।
জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জের ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে এসেছেন। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাসহ যারা দায়িত্ব পালন করছেন কোথাও কারও মধ্যে নিয়মের ব্যত্যয় দেখা যায়নি। নির্বাচন ভালো হয়েছে, সব কেন্দ্রেই সন্তোষজনক ভোট পড়েছে।
জেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ শেসে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান মতিয়ুর রহমান। এর আগে তিনি কমর আলী স্কুল কেন্দ্র ঘুরে দেখেন ও বিভিন্ন কেন্দ্রের খোঁজ খবর নেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলার এ নির্বাচন কর্মকর্তা আরও বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আমরা সিসিটিভির মাধ্যমে ভোট মনিটরিং করেছি। কোনো অভিযোগ পাইনি। আমাদের আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন করছেন। জেলা পরিষদে এটিই প্রথম ইভিএম’এ নির্বাচন হচ্ছে। আমি কারও কোনো অভিযোগ পাইনি। সবাই সন্তুষ্ট।
স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, জেলা পরিষদের এ নির্বাচনে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। চেয়ারম্যান পদে মহানগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি চন্দন শীল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। দুটি সাধারণ সদস্য পদেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের ফল এসেছে।
চেয়ারম্যান ব্যতীত পাঁচটি সাধারণ সদস্য ও দুটি সংরক্ষিত নারী সদস্য নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ গঠিত হয়। নির্বাচনে পাঁচটি সদস্য পদের জন্য লড়াই করেছেন ১৯ প্রার্থী। মোট ভোটের ৬১০ জন জনপ্রতিনিধি। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা এ নির্বাচনের ভোটার।
গত ১ সেপ্টেম্বর ঘোষিত জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী সোমবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ইভিএম’র মাধ্যমে পাঁচটি কেন্দ্রের ১০টি কক্ষে ভোট গ্রহণ হয়।