ফতুল্লার পঞ্চবটীতে ছয় মাসের গর্ভবতী নারীকে লাথি মেরে গর্ভের সন্তান নষ্ট করা সহ একই পরিবারের অপর তিন সদস্য কে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নির্যাতিত ওই নারীর স্বামীর বোন জামাই আহত আব্দুল সালাম খান বাদী হয়ে জামাল (৪০), তার পুত্র নাঈম (১৯),ভাই রুবেল (২৯) ও স্ত্রী নার্গিসসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জন কে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।
মামলা সূত্র ধরে পুলিশ মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত নার্গিস কে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ফতুল্লা মডেল থানার পঞ্চবটী ঢালডা গেইট এলাকায়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়,মামলার বাদী স্ব-পরিবারে ফতুল্লার পঞ্চবটীস্থ ডালঢা গেইট সংগ্ন জুয়েল মাহমুদের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করিয়া একই এলাকায় একটি খাবার হোটেল দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো।
অপরদিকে অভিযুক্তরা ও একই বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলো। একই বাসায় থাকার সুবাদে প্রায় সময় রান্না ঘরের চুলায় রান্না করা নিয়ে প্রায় সময় বাদীর স্ত্রীকে অভিযুক্ত নার্গিস বকাঝকা করিতো।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে বাদীর স্ত্রী রেবেকা আক্তারকে তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে গালমন্দ করতে থাকে। এতে বাদী প্রতিবাদ করলে অভিযুক্ত জামাল, নার্গিস, নাঈম, রুবেলসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন লোহার রড, পাইপ, রামদা লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ঘরে প্রবেশ করে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে।
এ সময় আত্নরক্ষার্থে বাদী ডাক চিৎকার করলে বাদীর স্ত্রী, শ্যালক সাইদুর রহমান(২২) ও শ্যালকের ছয় মাসের গর্ভবতী স্ত্রী ইভা আক্তার এগিয়ে আসে। এসময় অভিযুক্তরা তাদেরকেও মারধর করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তাদের কে উদ্ধার করে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বাদীর শ্যালকের স্ত্রী গর্ভবতী থাকায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরন হওয়ায় চাষাড়াস্থ মিতু ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানায় তার গর্ভের বাচ্চা গর্ভে নষ্ট হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির (২) জানায়, মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্ত নার্গিস কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত অপর আসামীদেরকে ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।