নারায়ণগঞ্জের বন্দরে গলাকেটে ফেরদৌস নামে এক অটো চালককে হত্যার ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। তারা হলো-মোঃ রকিব (২০) ও তার ভাই রাজিব (৩৩)।
গ্রেপ্তারকৃতরা বন্দরের মদনগঞ্জের বোরুন্দী পশ্চিপাড়া এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে তাদের গ্রেপ্তার করার পর বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে গণমাধ্যমে প্রেসবিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ তথ্য জানায় র্যাব-১১।
র্যাবের দাবী গ্রেপ্তারকৃত রাকিব ঘটনার মূলহোতা এবং রাজিব সন্দেহজনক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী রকিব উক্ত হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে বলে দাবি করেছে র্যাব।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১১ জানায়, আসামী রকিব তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু সিবলুর সাথে একটি অটো চুরির পরিকল্পনা করে। ভিকটিম যে গ্যারেজে তার অটো রাখে সেই গ্যারেজে আসামী রকিব সহকারী হিসাবে কাজ করে। রকিব উক্ত গ্যারেজে অটো ভাঙ্গা ও মেরামতের কাজ করতো।
ঘটনার দিন আসামী রকিব পরিকল্পনা অনুযায়ী ফেরদৌসকে নিয়ে তার অটোযোগে ঘটনাস্থলে যায় এবং অপর পলাতক আসামি সিবলু তার সহযোগীদের নিয়ে রকিবের সাথে যোগ দেয়। আসামীরা সকলে মাদক ও উত্তেজক দ্রব্য সেবন করে এবং ফেরদৌসকে অন্যান্যদের সহায়তায় আসামী রকিব ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। গ্রেপ্তারকৃতদের বন্দর থানায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
এদিকে রাত ৮টার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো অপর এক প্রেসবিজ্ঞপ্তি র্যাব উল্লেখ করেন, অটো চালক ফেরদৌস হত্যা মামলার আসামি রকিব হত্যার কথা স্বীকার করে এবং বন্দর থানায় হস্তান্তরের পর তার দেখানোমতে বন্দর থানা পুলিশ হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করে। ইতিমধ্যে আসামি রকিব আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে।
অপরদিকে বন্দর থানায় হস্তান্তরকৃত সন্ধিগ্ধ রাজিব উক্ত হত্যা মামলায় জড়িত না থাকায় তাকে বন্দর থানা কর্তৃক তার পরিবারের নিকট হস্তান্তরকরা হয়েছে।
প্রসঙ্গত: গত ১২ সেপ্টেম্বর বন্দরের দিঘলদী এলাকা হতে অটোচালক ফেরদৌসের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোঃ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে বন্দর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২৪।