নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া আমার মাতৃতুল্য। উনার দ্বারা আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি, হামলার শিকার হয়েছি, বাড়িঘর ছাড়তে হয়েছে। তবুও উনার জন্য আমি নামায পড়ে দোয়া করি। কেননা এটিই মা-বাবা শিখিয়েছেন, নবীজির শিক্ষাও এটি যে তুমি যার দ্বারা নির্যাতিত হবে, তার জন্য দোয়া করলে তা কবুল হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন। এতে কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন ও সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্তও অতিথি হিসেবে অংশ নেন৷
অনুষ্ঠানে শামীম ওসমান আরো বলেন, ‘জাপানের মতো একটি উন্নত দেশে আমাদের বেড়ে ওঠার কথা ছিল। অথচ ঘাতকের দল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় দেয়নি। আমার ভীষণ অবাক লাগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কীভাবে বিএনপি-জামায়াতকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা বলেই হয়তোবা পারেন। ২০১৩-১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর ফোনকলের বিপরীতে খালেদা জিয়া কেমন ব্যবহার করেছিলেন তা নিশ্চয়ই সকলের মনে আছে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী গ্রেনেড আমার উপর নিক্ষেপ করা হয়েছিলো। সেসময় খালেদা জিয়া বলেছিলেন, জাতির পিতার পরিবারের বিশেষ নিরাপত্তা আইন করতেই ওই হামলা। আমার দলের বিশটি ছেলে নিমেষেই শেষ হয়ে গেল। চন্দন, রতন পঙ্গু হয়ে গেলো। এতকিছুর পরেও যখন বিএনপি- জামায়াত মানবাধিকার, গণতন্ত্রের সবক দেয়, তখন অবাক লাগে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি এখন দুই গ্রুপে বিভক্ত। আম্মা গ্রুপ নির্বাচনে যেতে চায়, যদিও এটি তারা মুখে হয়তোবা শিকার করবে না। অন্যদিকে ভাইয়া গ্রুপের ভাইয়া ১৫১ সীট না এলে দেশে ফিরতে পারবেন না। আমার খুব কষ্ট লাগে যখন দেখি বেগম জিয়া অসুস্থ হওয়া সত্বেও তার নামকরা চিকিৎসক পুত্রবধূ, ব্যারিস্টার নাতনি তাকে দেখতে আসেন না। অথচ বেগম জিয়ার নামের উপরেই তারা লন্ডনে বিলাসী জীবনযাপন করছেন৷’