বন্দরে যাত্রী সেজে মিশুক চালককে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে মিশুক ছিনিয়ে নিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় চোরাইকৃত মিশুকসহ ৩ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত বুধবার (১০ আগষ্ট) দিবাগত রাত দেড়টায় ঢাকা যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশের সহযাগিতায় শনিআখড়াস্থ গোবিন্দপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরাইকৃত মিশুকটি উদ্ধারসহ ওই ৩ মিশুক চোরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো চট্রগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানার কাটির হাট এলাকার সফিকুল ইসলামের ছেলে রফিকুল ইসলাম (২০) নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার খাককান্দাস্থ নয়াপাড়া এলাকার আলম সহিদ মিয়ার ছেলে চাঁন বাদশা (১৯) ও মেহেদীগঞ্জ থানার তেতুলিয়া এলাকার ফরিদ সাইজি মিয়ার ছেলে সুমন (১৮)।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৯ আগষ্ট) বিকেল ৫টায় বন্দর উপজেলার কুশিয়ারা সিরাজ শাহ দরবারের সামনে থেকে কুড়িপাড়া যাওয়ার সময় ওই ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে অটো চালকের মা আসমা বেগম বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় চুরি ও চাঁদা দাবি ঘটনায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ১৮(৮)২২। ধারা- ৩২৮/ ৩৭৯/ ৩৬৫/ ৩৮৫ পেনাল কোড-১৮৬০। গ্রেপ্তারকৃত ৩ চোরকে জ্ঞিাসাবাদের জন্য ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করছে।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার ২৩ নং ওয়ার্ডের কবিলেরমোড় পঁচারবাগ এলাকার মোক্তার হোসেন মিয়ার ছেলে আক্তারুজ্জামান ওরফে আসলাম (১৪) জিবিকার তাগিদে দীর্ঘ দিন ধরে মিশুক চালিয়ে আসছে। প্রতিদিনের ন্যায় গত মঙ্গলবার (৯ আগষ্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় মিশুক চালক আক্তারুজ্জামান ওরফে আসলাম কাজের উদ্দেশ্যে মিশুক গাড়ী নিয়ে বাসা থেকে বের হয়। পরে ওই দিন বিকেল ৫টায় বন্দর উপজেলার কুশিয়ারাস্থ সিরাজশাহ দরবারের সামনে অজ্ঞাত নামা ৪ জন যাত্রী কুড়িপাড়া যাওয়ার কথা বলে মিশুক গাড়ীতে উঠে। পরে যাত্রী বেশী চোরের দল মিশুক চালক আসলামকে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে মিশুক গাড়ীটি চুরি করে নিয়ে যায়।
পরে চোরের দল ওই দিন সন্ধ্যায় ০১৯২৬৭৫৬১৩৮ নাম্বার থেকে অটো চালকের মায়ের ব্যবহারকৃত ০১৯৪৬৯১৮৬৪৬ নাম্বারে ফোন দিয়ে বলে তার ছেলেকে আটকে রাখা হয়েছে। ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়াতে হবে। টাকা নিয়ে কোথায় আসতে হবে জানতে চাইলে উল্লেখিত নাম্বার ব্যবহারকারি মিশুক চালকের মাকে যাত্রাবাড়ী থানার শনিআখড়া এলাকায় যেতে বলে। তাদের কথা অনুযায়ী মিশুক চালকের মা ও তার বড় ভাই যাত্রাবাড়ী শনিআখড়া এলাকায় এসে মিশুক চালককে খোঁজতে থাকে।
এ পর্যায়ে গত বুধবার (১০ আগষ্ট) বিকেল ৫টায় শহরের খানপুর হাসপাতাল থেকে ফোনের মাধ্যমে মিশুক চালকের মা আসমা বেগমকে জানায় তার ছেলে এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় মিশুক চালকের মা বাদী হয়ে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক মিরাজুল ইসলাম সোহাগসহ সঙ্গীয় ফোর্স যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশের সহযোগিতায় শনিআখড়াস্থ গোবিন্দপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরাইকৃত মিশুকটি উদ্ধারসহ ৩ মিশুক চোরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।