নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারদি ইউনিয়ন পরিষদে বিচার সালিশ চলাকালে প্রতিপক্ষ হামলা চালিয়ে ছুরিকাঘাত করে দুজনকে আহত হয়েছে। সোমবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতদের মামা ওয়াহিদ মিয়া বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার বারদি ইউনিয়নের ফুলদি গ্রামের মোঃ ওয়াহিদ মিয়ার সঙ্গে পাশ্বর্বর্তী আলগীরচর গ্রামের ইকবালের দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ীক দ্বন্ধ চলে আসছিল। এ নিয়ে বারদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দাবি করেন মোঃ ওয়াহিদ মিয়া। সোমবার দু’পক্ষই তাদের লোকজন নিয়ে বিচার সালিশে উপস্থিত হয়। বিচার সালিশ চলাকালে ইকবালের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে পাওনাদার ওয়াহি মিয়া। এক পর্যায়ে ইকবালের নেতৃত্বে হারুন অর রশিদ, কবির হোসেন, সাইদুল, মুছা, হানিফাসহ ১০-১২ জনের একটি দল ওয়াহিদের ভাগিনা মাসুম ও সালাউদ্দিনকে ছুরিকাঘাত ও পিটিয়ে আহত করে। আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
অভিযোগের বাদি মোঃ ওয়াহিদ মিয়া বলেন, পাওনা টাকার জেরেই বিচার শালিস বসানো হয়। এসময় আমার ভাগিনাদের ছুরিকাঘাত ও পিটিয়ে আহত করেছে।
অপরদিকে অভিযুক্ত ইকবালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার লোকজন উত্তেজিত হয়ে ঘটনা ঘটিয়েছে তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেন।
বারদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বাবুল বলেন, বিচার সালিশ শুরু হওয়ার আগে বাইরে হামলার ঘটনা ঘটে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।