নারায়ণগঞ্জ বন্দর সোনাকান্দা এলাকায় আশংকাজনক ভাবে বুদ্ধি পেয়েছে চুরি ছিনতাই।গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি বাড়ী ও দোকানে গণহারে চুরির ঘটনা ঘটেছে।থানা পুলিশ ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের তৎপরতায় কয়েকমাস যাবত এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও ফের চিহ্নিত চোর সিন্ডিকেট ও মাদক ব্যাবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
বুধবার (৩ আগস্ট) গভীর রাতে নাসিক ২০ নং ওয়ার্ড সোনাকান্দা কেএন সেন রোডের বাসিন্দা আকলিমা আক্তার আখী ও মোঃ সিরাজ মিয়ার বাড়ীতে দুধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে।এসময় জড়িত একজনকে হাতেনাতে আটক করে এলাকাবাসী।পরে সহযোগীরা এসে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয়।পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী সিরাজ মিয়া অভিযোগ করেন,বুধবার রাত ১২ টার দিকে শব্দ শুনে ঘুম থেকে জেগে দেখি চিহ্নিত চোর ও মাদক ব্যাবসায়ী রাফসান(২৪), জনি(২৩) ও সারোয়ার বাসার উত্তর পাশের বেড রুমের জানালা খুলে বাকা রড দিয়ে সোকেসের উপর রাখা একটি শাওমি স্মার্ট ফোন ও ভেতরে থাকা ব্যাবহৃত মুল্যবান জিনিসপত্র টেনে নিয়ে যায়।চোরেরা ওয়্যারড্রপের উপর থাকা একটা ৩২” ইঞ্চি স্মার্ট টিভি নেওয়ার জন্য টানাটানি করে এবং জানালা দিয়ে বেড় করতে না পারায় ফ্লোরে পড়ে টিভি ভেঙে ক্ষতি যায়।একপর্যায়ে চিৎকার করলে চোরেরা পালিয়ে যায়।রাতেই কাউন্সিলর হাজী শাহেনশাহ ভাইকে জানাই।তিনি আরও বলেন,এসব চোর সিন্ডিকেট এবং মাদক ব্যাবসায়ীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
গৃহিণী আকলিমা আক্তার আখী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান,বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বাড়ির দক্ষিন পাশের দেওয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে প্রথমে বাইরে থেকে বসত ঘরের দরজার সিটকানি লাগায়।পরে রান্না ঘরের দরজা ভেঙে বেশকিছু আসবাবপত্র এবং খোপ থেকে ৮টি মুরগী চুরি করে নিয়ে যায়।একপর্যায়ে টের পেয়ে লাইট অন করলে দৌড়ে পালিয়ে যায় চোরের দল।এর আগেও দিনে দুপুরে কয়েকবার চোরেরা মুরগী, ছাগল,কবুতর সহ ঘরের মুল্যবান জিনিসপত্র চুরি করেছে।থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো রকম প্রতিকার নেই।তবে স্থানীয় কাউন্সিলর শাহেনশাহ ভাই নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা কিছুটা কমছে।
স্থানীয়রা জানান,স্থানীয় দেলু মিয়ার ছেলে সারোয়ার, গিয়াস উদ্দিন ওরফে গেসুর ছেলে রাফসান,ইব্রা মিয়ার ছেলে জনি ও তাদের সহযোগীরা সোনাকান্দা হাট থেকে তেতুল তলা,পানির টাংকি সহ আশপাশের এলাকায় চুরি ছিনতাই ও মাদক ব্যাবসা করে আসছে।তাদের রয়েছে বিশাল সিন্ডিকেট।আর সরাসরি এসব অপরাধীদের আশ্রয় প্রশ্রয় এবং শেল্টার দিচ্ছেন স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েকজন জানান,এসব চিহ্নিত চোরেরা রাতভর বিভিন্ন বাসাবাড়ি,দোকানপাটে চুরি ও পথচারীদের থেকে ছিনতাই করে মুল্যবান জিনিসপত্র আড়ালে থাকা শেল্টারদাতাদের কাছেই স্বল্পমূল্যে বিক্রি করে।
জানতে চাইলে ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব শাহেন শাহ আহম্মেদ বলেন, কিছু মাদকাসক্ত এবং বিপদগামী উঠতি বয়সী যুবকদের দিয়ে এসব অপকর্ম করায় এলাকার কিছু মন্দ মানুষেরা।মাদক ও চোর সিন্ডিকেট মুক্ত করার কথা উল্লেখ করে বলেন নির্বাচনের আগে ওয়ার্ড বাসীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষার চেষ্টা করছি।
প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে জানিয়ে এসআই মেহেদী হাসান বলেন,জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছি। ওদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ভুক্তভোগীদের কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা হবে।