ফতুল্লার কাশিপুরে স্ত্রীর বড় ভাই হাশেম মোল্লা (৫০) কে ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনার একমাত্র প্রধান আসামী আলামিন (২৫) কে গ্রেপ্তার করছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আলামিন ফতুল্লার চর কাশিপুর এলাকার জলিল মিয়ার পুত্র।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সকালে তাকে ফতুল্লার পাগলা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত হাশেম মোল্লা ফতুল্লার চর কাশিপুর এলাকার মৃত. নূর হোসেনের ছেলে।
ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ শেখ রিজাউল হক দিপু জানায়,হাশেম মোল্লা হত্যা কান্ডের প্রধান আসামী আলামিন কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
হত্যাকান্ডের পরপর সে পালিয়ে গিয়ে বিভিন্ন মাজারে মাজারে অবস্থান করে আসছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে তাকে পাগলা বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
উল্লেখ্য যে, ২৭জুলাই ছোট বোন পুস্পাকে নির্যাতন করার প্রতিবাদ করায় স্ত্রীর বড় ভাই হাশেম মোল্লা কে ঘাতক আলামিন ছুরিকাঘাত করে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসারতবস্থায় মারা যায় হাশেম মোল্লা।
নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক মোস্তফা কামাল-২ জানান, ফতুল্লার চর কাশিপুর এলাকার আল আমিনের সঙ্গে ১৫ বৎসর পূর্বে একই এলাকার পুস্পার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৩টি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে প্রায় সময় স্ত্রী পুষ্পাকে নির্যাতন করত আল আমিন।
এ নিয়ে একাধীকবার বিচার শালিস হয়। কয়েকদিন আগেও তাদের নিয়ে শালিস হয়েছে। এরপরও মঙ্গলবার রাতে আল আমিন তার স্ত্রীকে মারধর করলে হাশেম মোল্লা প্রতিবাদ করেন। এতে আলামিন ক্ষিপ্ত হয়ে হাশেম মোল্লার বুকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে।
পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমকি চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার মধ্যরাতের সে মারা যায়।