সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (জান্নাত):
নারায়নগঞ্জ জেলার শহর ও শহরতলীরমাদক ব্যবসায়ী ফতুল্লা চাঁনমারী এলাকার মাদক সম্রাট মোক্কার মেয়ে ও মাদক ব্যবসায়ী খাদেমের একমাত্র বোন এক ডজনের ও বেশী মাদক মামলার আসামী রুমী আক্তার (৩৫) বেশ দাপটের সাথে চাঁনমারী এলাকায় মদ,গাঁজা,ইয়াবা ও হেরোইনের মত ভয়ংকর মাদক বিক্রি করে বেড়াচ্ছে।
ইতিপূর্বে জানা যায় গত বৃহস্পতিবার (২৬ মে) তাকে ফতুল্লা থানার তল্লা সবুজবাগস্থ সুমনের বাড়ীর ৪র্থ তলার এফ-৪০৪ নং ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার নিকট থেকে ত্রিশ গ্রাম (৩০০ পুরিয়া) হেরোইন সহ মাদক বিক্রির ১৯ হাজার ৭ শত টাকা উদ্ধার করে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
গ্রেফতারকৃত মাদক সম্রাজ্ঞী রুমী আক্তার ওরফে রুমী জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার বিরপাকের দেহ গ্রামের মুক্কার মেয়ে ও মাদক ব্যবসায়ী খাদেমের একমাত্র বোন। ফতুল্লা থানার তল্লা সবুজ বাগের সুমনের বাড়ীর ৪র্থ তলার ভাড়াটিয়া লেবু মিয়ার স্ত্রী।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ “ক” সার্কেলের উপ-পরিদর্শক সুরাইয়া আক্তার, সহকারী উপ-পরিদর্শক ও মাহাফুজুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিকেল ৫টায় তল্লা সবুজবাগস্থ গ্রেফতারকৃত মাদক সম্রাজ্ঞী রুমী আক্তারের ফ্ল্যাটে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে। পরে তার স্বীকারোক্তিমতে সোকেসের ড্রয়ারে রাখা ৩০ গ্রাম (৩শত পুরিয়া) হেরোইন সহ হেরোইন বিক্রির ১৯ হাজার ৭শত টাকা উদ্ধার করে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিকট গ্রেফতারকৃত রুমী স্বীকার করে ফতুল্লা থানার নয়ামাটি এলাকার অপর মাদক বিক্রেতা পারভিন ওরফে নাইট পারভিন তাকে প্রতি সপ্তাহে ৫ লক্ষাধিক টাকার হেরোইন প্রদান করে। গত একদিন পূর্বে হেরোইন বিক্রির তিন লাখ টাকা পরিশোধ করেছে এবং দুই লাখ টাকা বাকী রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত রুমীর বাবা মাদক ব্যবসায়ী মোক্কা মিয়া চানমারী এলাকায় একসময়ে বেশ দাপটের সাথে ব্যবসায় করে ৫-৬ টা মাইক্রো বাস এবং জামালপুরে বিরাট অট্টালিকা বাড়ি নির্মান করেন।পরে মোক্কা মিয়া পুলিশের হাতে ধরা খাওয়ার পর তার বড় পুত্র খাদেম আলী এই মাদক সাম্রাজ্য গুছিয়ে নেন।বেশ কয়েক বছর খাদেম আলী ব্যবসায় করার পর একসময় তার বোন রুমি আক্তার ও এই ব্যবসায় বেছে নেন।
জানা যায় রুমির ছোট ভাই ফযের আলী (২৪) তার বোন রুমি ও ভাই খাদেমের এই মাদক ব্যবসায়ে সহযোগিতা করেন।
স্থানীয়দের দাবি চাঁনমারীর সাথে ডিবি অফিস ও এসপি অফিস থাকা সত্ত্বেও কিভাবে এই গোটা পরিবারের সদস্য এইরকম দাপটের সাথে মাদক ব্যবসা করে চলেছে তা কারোই বোধগম্য নয়।তারা একটাই দাবি করেন যাতে প্রশাসন এই পুরো পরিবারের উপর যথাযথ ব্যবস্থা নেন