সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
গাভীর দুধ, পানি, চিনি ও লবণে তৈরি হওয়ার কথা মাঠা। কিন্তু সেই মাঠাই তৈরি হচ্ছিল বস্তার গুড়াদুধ আর স্যাকারিনের মিশ্রনে। মাঠার কারখানার পাশেই সব আবর্জনা ফেলা হচ্ছে, বিপুল পরিমাণে মাছি ও সাদা পোকা মাঠার পাত্রে কিলবিল করছে। কোন পেস্ট কন্ট্রোল মেকানিজম সেখানে নেই। অথচ, সেই মাঠাই মন কেড়েছে নারায়ণগঞ্জের অনেকের।
শনিবার (৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় অভিযান চালিয়ে পাশ্বপর্তী জেলা মুন্সীগঞ্জের আলদির জনপ্রিয় কমল ঘোষের মাঠা কারখানায় এমন দৃশ্য দেখতে পান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পরে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও সংশোধন হবার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মুন্সীগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদের নেতৃত্বে অভিযানে ছিলেন মুন্সীগঞ্জ ব্যাটালিয়ন আনসার এর একটি টিম ও উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. জামাল উদ্দিন মোল্লা।
মুন্সীগঞ্জ জেলা কার্যালয় থেকে প্রেরিত বার্তায় জানানো হয়, প্রস্তুতকারক মাঠার উপাদান হিসেবে গাভীর দুধ, পানি, চিনি ও লবণের কথা প্রথমে বলেন, কিন্তু অনুসন্ধান করে বস্তার গুড়াদুধ ও স্যাকারিন পাওয়া যায়। কারখানাতে, এগুলো মিশানোর কথা তারা পরবর্তীতে স্বীকার করেন। মাঠা ঠান্ডা করতে বরফকল হতে আনা বস্তার বরফ ব্যবহার করতে দেখা যায়। মাঠার বোতলে উতপাদনের তারিখ মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ, এম আর পি, উপাদান ও পরিমাণ কিছুই উল্লেখ করা হচ্ছে না। এছাড়া পচিশ বছর ধরে মাঠা বিক্রি করলেও কোন প্রকার লাইসেন্স তিনি গ্রহণ করেননি।