1. sokalnarayanganj@gmail.com : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. skriaz30@gmail.com : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
নিহত মাহফুজের পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি - সকাল নারায়ণগঞ্জ
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
কিশোর গ্যাং আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে: আবদুল জব্বার  ‎নারায়ণগঞ্জ বারের প্রয়াত এডভোকেট জয়ন্ত কুমার ঘোষকে উৎসর্গীকৃত কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন লাইব্রেরিতে বই বিতরণ অনুষ্ঠান বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ফতুল্লা থানা উত্তর কমিটি গঠন বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণের দাবি পাবলিক প্লেসে ধূমপানের স্থান নয়, গাছ থাকা জরুরি ‎মডেল মাসুদের পক্ষে ‎দেওভোগে ক্ষতিগ্রস্থ স্কুল পরিদর্শন করলেন মনির জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বাসদের মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনী সমাবেশ এই জোড়া খুনের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করার দাবী জানাচ্ছি,টিপু… স্বাধীনতা বিরোধিতার দায় এখনও বহন করছে জামায়াত — মনির কাসেমী আইনভঙ্গে বেপরোয়া সিগারেট কোম্পানি, সরকারকে কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান

নিহত মাহফুজের পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০২২
  • ১৩৯ Time View

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ

বছর দেড় আগে মাহফুজের বন্ধুদের সঙ্গে নগরের চাষাঢ়া শহীদ মিনারে দেওভোগ এলাকার কিছু যুবকের মারামারি হয়। শুক্রবার (১১ মার্চ) মাহফুজের বন্ধুরা জানতে পারে ওই যুবকরা পিকনিক করতে শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্বপাড়ে গেছে। রাতে তারা নগরের টানবাজার ঘাট দিয়ে ফিরবে। পুরনো দ্বন্দ্বের প্রতিশোধ নিতে বন্ধু মেহেদী, তমাল ও সায়েমের সঙ্গে মাহফুজও টানবাজার ঘাটে যায়। সেখানে দেওভোগ এলাকার ওই যুবকদের সঙ্গে তাদের দেখাও হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষের সদস্য সংখ্যা বেশি হওয়ায় মাহফুজ ও তার বন্ধুরা পেরে উঠেনি। উল্টো প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে প্রাণ হারায় মাহফুজ।

শুক্রবার (১১ মার্চ) রাতে নগরের টানবাজার গুদারা ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. মাহফুজ (২০) নগরীর খানপুর বউবাজার এলাকার হারুনুর রশীদের ছেলে এবং নারায়ণগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত মাহফুজের বন্ধু মেহেদী, সায়েম ও তমালকে আটক করেছে পুলিশ। তারা তিনজনই নগরের খানপুর ও এর আশেপাশের এলাকার বাসিন্দা।

নিহত মাহফুজের বড় বোন পলি বেগম বলেন, শুক্রবার বিকেলে বাসায় ফেরার পর মাহফুজের দুই বন্ধু মেহেদী (২১) ও সায়েম (২০) তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। রাতে মাহফুজ ছুরিকাঘাতে আহত অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে আছে খবর পেয়ে হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক তাকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। পরে ঢাকার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করালে সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাত আড়াইটার দিকে মারা যায় মাহফুজ।

মাহফুজের পিঠে ছুরির গভীর আঘাত ছিল বলে জানান তার মা মাবিয়া বেগম। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, মেসে রান্না কইরা ছেলেরে বড় করছি। তিন মেয়ের পর একমাত্র ছেলে ছিল মাহফুজ। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।

শনিবার (১২ মার্চ) দুপুরে মাহফুজের মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

নিহতের দুই বন্ধু মেহেদী ও সায়েমের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক বলেন, বছর দেড়েক পূর্বে দেওভোগের কিছু যুবকের সঙ্গে চাষাঢ়া শহীদ মিনারে মারামারি হয় মেহেদী, সায়েমসহ তাদের বন্ধুদের। কোনভাবে তারা জানতে পারে দেওভোগের ওই যুবকরা শুক্রবার পিকনিক শেষে রাতে টানবাজার ঘাট দিয়ে ফিরবে। তাদের শায়েস্তা করতে টানবাজারের গুদারা ঘাটে যায় তারা। সেখানে প্রতিপক্ষের মারধর ও ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয় মাহফুজ। গুরুতর আহত মাহফুজকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল এবং পরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার গভীর রাতে মারা যায় সে।

নিহত মাহফুজের বন্ধু আটক মেহেদীর স্ত্রী স্মৃতি জানান, শুক্রবার দুপুরে বাসা থেকে বের হন তার স্বামী। এরপর কী হয়েছে সেটা তারা জানেন না। মেহেদী ও নিহত মাহফুজ ভালো বন্ধু ছিল বলেও জানায় স্মৃতি। একই কথা জানান সায়েমের স্বজনরাও।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্‌ জামান বলেছেন, ঘটনার সময় মাহফুজের সঙ্গে থাকা তিন বন্ধুর সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানা যায়। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের মা মাফিয়া। ২৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন তিনি। মামলার পর মেহেদী ও সায়েম সহ আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
৪ দিনের রিমান্ড শেষে মেহেদী ও সিয়ামসহ ৪ জনকে মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) আদালতে প্রেরণ করা হয়। 

মেহেদির বোন মিসু ও মেহেদির মামা চুন্না নিহত মাহফুজের পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এমনকি চুন্না ও মিশু বাদীকে বলেন, দরকার পরলে বাড়ী বিক্রি করে ২০ লাখ টাকা দিবো তারপরেও মামলা শেষ করবো।

জানা যায়, মেহেদী ও সায়েম আপন মামাতো চাচাতো ভাই। তাদের চাচা/মামা চুন্নার ক্ষমতা দেখিয়ে মেট্রো হলের মোড়ে ছিনতাই ও মারামারি ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধ করে আসছিলো। এমনকি চুন্না এক সাংবাদিককে হত্যারও চেষ্টা করে।

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL