সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন রাজাসন এলাকা হতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর অন্যতম সংগঠক মুন্সি ইকবাল আহমেদ’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪; উগ্রবাদী বই এবং লিফলেট উদ্ধার।
শুক্রবার (১১ মার্চ) এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন রাজাসন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উগ্রবাদী কার্যক্রমে ব্যবহৃত মোবাইল, উগ্রবাদী বই এবং লিফলেটসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন “আনসার আল ইসলাম” এর ০১ সংগঠককে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামি হলেন, গোপালগঞ্জ জেলার মুন্সি ইকবাল আহমেদ (৬২)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হরকাতুল জিহাদ এর নেতা ছিল বলে জানা যায়। পররবর্তীতে ২০০৪ সালের ২১শে মে সাবেক ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরী সিলেটে হযরত শাহজালালের মাজারে গ্রেনেড হামলার ঘটনার পর তাদের উপর গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির কারণে আনসার আল ইসলাম এর সাথে কাজ শুরু করে। বর্তমানে সে ‘‘আনসার আল ইসলামের’’ অন্যতম ‘‘সংগঠক’’ বলে স্বীকারোক্তি প্রদান করে। সংগঠনের অন্যান্য ৫/৬ জন সদস্যদের নিয়ে ১১ মার্চ ২০২২ তারিখ রাতে সংগঠনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠকে মিলিত হয়েছিল বলে জানায়। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে “আনসার আল ইসলাম” এর সংগঠক হিসেবে অন্যান্য সদস্যদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপন করে আসছিলো। তার মোবাইল হতে বিভিন্ন উগ্রবাদী কথোপকথনের ও প্রচার প্রচারণার প্রমাণাদি জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত মুন্সি ইকবাল আহমেদ, গোপালগঞ্জ জেলার স্থানীয় একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করে। পরবর্তীতে ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন এলাকায় বসবাস শুরু করেন। সে পরিবারের ১০ ভাই-বোনের মধ্যে তৃতীয়। সে আলোচিত জঙ্গি সংগঠন হুজি বি এর প্রধান মুফতি হান্নানের ভাই। মুফতি হান্নান ২০০৪ সালের তৎকালীন বৃটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর উপর গ্রেনেড হামলা মামলার প্রধান আসামী যার পরবর্তীতে ফাসি কার্যকর হয়। তার আরো ০২ ভাই মৃত্যুদন্ড আদেশপ্রাপ্ত। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি বেশ কয়েকবছর যাবৎ নিষিদ্ধ ঘোষিত ‘‘আনসার আল ইসলাম’’ এর সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য দেশে এবং দেশের বাহিরে (আফগানিস্থান) পলাতক থেকে প্রশিক্ষণসহ নতুন নতুন কৌশল রপ্ত করেছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাস ও নাশকতা সংশ্লিষ্ট ০৪ টি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি অন্যান্য সহোচরদের গ্রেফতারে র্যাব এর গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।