সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
মেয়াদ উত্তীর্ণ ও ভেজাল ঔষধ বিরোধী অভিযানে, বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দ চিড়াইপাড়া ব্রীজ সংলগ্ন মা মেডিকেল হল এন্ড ডক্টরস চেম্বার প্রতিষ্ঠানের পরিচালক একই পরিবারের দুই ভাই ভূয়া চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) এই অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বন্দর উপজেলার বারপাড়া জাংগাল এলাকার মোঃ মনির হোসেনের দুই ছেলে মোঃ সোহাগ (৩৯) ও নুর মোহাম্মদ সুজন (২৭) । পলাতক রয়েছে ছোট ছেলে `ভূয়া ডাক্তার’ ডা. মো. সোহেল মাহমুদ খান (২৬)।
র্যাব-১১ উপ-পরিচালক (স্কোয়াড্রন লীডার) এ কে এম মুনিরুল আলম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তাদের আপন ছোট ভাই ডা. মো. সোহেল মাহমুদ খান সহযোগী এবং কম্পাউন্ডার হিসেবে পরিচয় দিয়ে তারা বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ের জন্য রোগীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে এবং ডাক্তারের পরামর্শক্রমে বিভিন্ন প্রকার ভ্যাকসিন ইনজেক্ট করে বলে জানায় এবং পলাতক আসামী বিএমডিসি কর্তৃক অনুমোদিত কিংবা একাডেমি সার্টিফিকেটধারী কোন রেজিষ্টার্ড ডাক্তার নয়, সে একজন ভূয়া ডাক্তার।
তিনি আরও জানান, তাদের কারো মেডিকেল এবং মেডিসিন বিষয়ক শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন সার্টিফিকেট নেই। পরবর্তীতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সাংবাদিকতার পরিচয় পাওয়া গেলেও তাদের সাংবাদিকতার নূন্যতম যোগ্যতা নেই। তবুও সাংবাদিকতাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের ছোট ভাই ভূয়া ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে প্রচারণা ও উৎসাহ দিয়ে থাকে। তারা ড্রাগ লাইসেন্স ব্যতিত উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের ফার্মেসীতে বিভিন্ন প্রকার যৌন উত্তেজক ঔষধ এবং স্বল্পমূল্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি করে। মূলত এসব কর্মকান্ডের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে নিজেরা আর্থিক ভাবে লাভবান হয়ে থাকে।
অভিযুক্তরা আরও জানায়, পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ লোকচক্ষুর আড়ালে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে সুকৌশলে সাধারণ মানুষের সাথে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে আসছে। এছাড়াও সাংবাদিকতাকে নামে তারা বিভিন্ন অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় ও পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে বন্দর থানায় একটি নিয়মিত মামালা দায়ের করা হয়েছে।