সকাল নারায়ণগঞ্জ
বন্দরের সর্বস্তরের উন্নয়নে বন্দরের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনার লক্ষ্যে মত বিনিময় সভা করেছেন নারায়ণগঞ্জ -৫ আসনের সংসদ সদস্য এমপি সেলিম ওসমান।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যা ৭টায় বন্দর উপজেলার অডিটোরিয়ামে এই মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান এম এ রশিদকে আহবায়ক করে ১৫১ সদস্য বন্দর উন্নয়ন আহবায়ক কমিটির করার সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে ওই কমিটি ১০০১ সদস্যে উন্নীত করতে বলা হয়েছে।
মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এমপি সেলিম ওসমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান এম এ রশিদ।
মত বিনিময় সভায় বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল সহ সিটি কর্পোরেশন এলাকার সকল কাউন্সিলর ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা সহ সকলেই বন্দরের উন্নয়নে একত্রে কাজ করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি সেলিম ওসমান বলেন, বিগত দুই বছরে করোনার কারণে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের। তারা স্কুল কলেজে যেতে পারে নাই। এখন ওমিক্রন দেখা দিয়েছে। আমাদের সব থেকে বেশি করণীয় হচ্ছে নিজে সচেতন থাকা অন্যকে সচেতন করা। গত কয়েকদিনে আমি অনেক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন সুফল পাচ্ছিনা। আজকে যারা চেয়ারম্যান মেম্বার কাউন্সিলর বানান তারাও এখানে উপস্থিত আছেন।
তিনি আরো বলেন, নাসিম ওসমান সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পর্কে বলেন, ব্রিজ হতে এতো সময় লাগেনা। আজ সেতুর কাজ দেখে মনটা ভাল হয়ে গেছে। কিন্তু রাস্তাগুলো দখল করা হচ্ছে, পীর আউলিয়ারাও জমি দখল করছে এগুলো দেখার মত কেউ নেই। সাধারণ মানুষ যারা এখন রাস্তার পাশে দোকানপাট করতেছেন পরবর্তীতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। শান্তিরচরে নীটপল্লীর জমি বিক্রি করে দেওয়ার পায়তারা করা হয়। কি চায় এরা? এরা কিন্তু বন্দরেরই মানুষ। বন্দরের মানুষ বন্দরের উন্নয়ন না চেয়ে এমন কাজ করলে উন্নয়ন আগাবে না। নবীগঞ্জ দিয়ে সেতু নির্মাণের জন্য আমারই চাহিদাপত্র দেওয়া। যেহেতু নদীর দুইপাড়ই সিটি কর্পোরেশনের তাই সেটা সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে হবে। তাই বলে উন্নয়ন কাজকে তো বাধা দেওয়া যাবেনা। সেতুগুলো হলে বন্দরের চেহারা পাল্টে যাবে। আপনারা আপনাদের জমিগুলো বিক্রি করে দিয়েন না।
তিনি আরও বলেন, কোন জনপ্রতিনিধিই কোন কাজ করতে পারবেনা যদি না মানুষের সহযোগিতা না থাকে। আমি ৯টি স্কুল ভবন বানাতে পেরেছি কারণ এলাকার মানুষের সহযোগীতা ছিল। আপনারা আপনাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতা করুন। বন্দরের মানুষ বন্দরের উন্নয়ন না হওয়া পযন্ত রাজনীতিকে রাজনীতির মাঠে রাখুন। সবাই রশিদ ভাইয়ের নেতৃত্বে কাজ করবেন। ওনি আমাকে যেভাবে হুকুম করবেন আমি সেভাবে কাজ করবো।
জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের নতুন জেলা প্রশাসক বন্দরকে ভালোবেসে ফেলেছেন। তিনি গোপনে এসে বন্দরে পুকুরে বড়শি দিয়ে মাছ ধরেন। আমাদের সমরক্ষেত্র উনার খুব পছন্দ হয়েছে। সেখানে ওনি একটি স্মৃতিসৌধ বানাতে চেয়েছেন। যে পরিকল্পনা আমি আর রশিদ ভাই আগেই করেছিলাম কিন্তু যে কোন কারণবশত হয়ে উঠেনি। আমাদের চিন্তা ভাবনার সাথে ওনার চিন্তা ধারনা মিলে গেছে। এজন্য আমি জেলা প্রশাসককে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
মত বিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সানা উল্লাহ সানু, নারী ভাইস চেয়ারম্যান ছালিমা ইসলাম শান্তা, বন্দর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কুদরত-এ- খোদ, বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোকলেসুর রহমান, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহেন শাহ, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন, ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন, ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জোহা, ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজ মন্ডল, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ গাজী সালাম, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, গোগনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজর আলী, আলীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা।