সকাল নারায়ণগঞ্জ: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতিক বলেছেন, “মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশের মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তাদের জন্যই বাঙালি জাতি আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের এই অবদানের কথা অনন্তকাল মনে রাখবে।”
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকায় মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের আনোয়ার হোসেন মিলনায়তনে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কাজ করছে উল্লেখ করে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতিক আরও বলেন, ‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ২১ বছর মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের পরিচয় দিতে পারেননি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের হারানো গৌরব ফিরে পেয়েছেন, ফিরে পেয়েছেন তাদের পরিচয়। বর্তমান সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে তাদের সম্মান নিশ্চিত করা হচ্ছে।”
স্মৃতি রক্ষায় প্রতি এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সড়ক গুলোর নামকরণ করার জন্য আহবান জানিয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেন, “বঙ্গন্ধুর নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহহীন মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর নির্মান করে দিচ্ছেন। একটা সময় ছিল স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিতে পারতামনা। মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট লুকিয়ে রেখে চাকরি চাইতে হতো।”
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হাফিজ, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্মসম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আব্দুল কাদির প্রমূখ।