ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের নতুন কার্যালয় নির্মাণের জন্য ১০ লাখ টাকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনের সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল। গতকাল রবিবার বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে থানা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত দোয়ার পূর্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলীর দাবির প্রেক্ষিতে তিনি এ ঘোষণা দেন।
একইদিনে ফতুল্লা থানাধীন কুতুবপুর ইউনিয়নের রামারবাগ এলাকায় নিজ বাসভবন, লালখা, পিলকুনি, ওসমানী স্টেডিয়ামসহ ১০টি স্পটে মোস্তফা কামালের নিজ উদ্যোগে মিলাদ, দোয়া ও প্রায় অর্ধশতাধিক ডেক রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
এসব দোয়া ও মিলাদ শেষে তিনি বলেন, আজকের এই দিনে কতিপয় দুস্কৃতিকারীদের নির্মম বুলেটের আঘাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে নিহত হন। এই দিনটিতেই বাঙ্গালী জাতির সবচেয়ে লজ্জাজনক অধ্যায়, কলঙ্কময় এক অধ্যায় রচিত হয়। ঘাতকেরা সেদিন ভেবেছিলো বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেই মনে হয়, সবকিছু শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু ঘাতকেরা সেদিন বুঝতে পারে নি, এভাবে বঙ্গবন্ধুকে শেষ করা যাবে না। কেননা বঙ্গবন্ধু মানে বাঙ্গালী জাতির চেতনা, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারই কণ্যা, বিশ্ব মানবতার মা, জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশবাসীর উন্নয়নে এসডিজি বা সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল্ড তথা ২০৪১ সালে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে গড়ে তুলতে দিনরাত ২৪ ঘন্টা কাজ করে যাচ্ছেন। তাই আমি সকালের প্রতি উদাত্ত আহবান রাখবো নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের উন্নয়নে ভুমিকা রেখে জননেত্রী হাতকে শক্তিশালী করুন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ই আগষ্টে দুস্কৃতিকারীদের বুলেটের আঘাতে যারা মৃত্যুবরণকারীদের রূহের মাগফেরাত কামনা করছি। একইসাথে ভাষা সৈনিক, স্বাধীণতা পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত একেএম শামসুজ্জোহা, মাতা প্রয়াত ভাষা সৈনিক নাগিনা জোহা, বড় ভাই প্রয়াত সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানসহ ওসমান পরিবারের মৃত সকল সদস্যদের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন তিনি। নারায়ণগঞ্জের মাটি ও মানুষের নেতা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, তার স্ত্রী লিপি ওসমানের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন তিনি।
প্রতিটি স্পটে মোস্তফা কামালের পুত্র রবিন, যুবলীগ নেতা উজ্জলসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।