1. sokalnarayanganj@gmail.com : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. skriaz30@gmail.com : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
হাদিসের আলোকে বিতরের নামাজ - সকাল নারায়ণগঞ্জ
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৫:৩৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বিনম্র শ্রদ্ধা ও দোয়া অনুষ্ঠিত। স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের প্রতি আজমেরী ওসমানের শ্রদ্ধাঞ্জলী ভুল চিকিৎসায় এক গৃহবধূ নিহত পলাতক চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমি সত্যিই হতবাক একেএম সেলিম ওসমান সংসদ সদস্য নারায়ণগঞ্জ ০৫ নবজাতক শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আসামিদের কোর্টে পেরন রূপগঞ্জে ইমাম সম্মেলনে গাজী গোলাম মূর্তজা মুরুব্বিদের সমর্থনে নির্বাচন করবো হিংসা বিদ্বেষ ছেড়ে সিয়াম সাধনায় ব্রত হওয়ার আহ্বান নারায়ণগঞ্জে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের মতবিনিময়সভা শামীম ওসমা‌নের সুস্থতা কামনায় ক‌বির‌ হে‌সে‌নের উদ্যো‌গে বি‌শেষ দোয়া ভূয়া সিআইডি কর্মকর্তা সেজে একাধিক তরুণীর সাথে প্রতারণা, গ্রেফতার ১

হাদিসের আলোকে বিতরের নামাজ

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট বৃহস্পতিবার, ৫ আগস্ট, ২০২১
  • ৪১ Time View

সকাল নারায়ণগঞ্জ অনলাইন ডেস্কঃ

বিতর নামাজ তিন রাকাত। অন্য ফরজ নামাজের মতো দুই রাকাত নামাজ পড়ে প্রথম বৈঠকে বসে তাশাহহুদ পড়বে। কিন্তু সালাম ফেরাবে না।

তারপর তৃতীয় রাকাত পড়ার জন্য উঠে সুরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য কোনো সুরা বা আয়াত মিলাবে। কিরাত (সুরা বা অন্য আয়াত মিলানোর পর) শেষ করার পর তাকবির বলে দুহাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে তাকবিরে তাহরিমার মতো হাত বাঁধবে। তারপর নিঃশব্দে দোয়া কুনুত পড়বে।

দোয়া কুনুত পড়ে আগের মতো রুকু, সিজদার পর শেষ তাশাহহুদ, দরুদ, দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফিরানোর মাধ্যমে বিতরের নামাজ সমাপ্ত করবে।

বিতরের নামাজের এই পদ্ধতি হাদিস থেকে সুপ্রমাণিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) সাধারণত তাহাজ্জুদের পর বিতর পড়তেন এবং বিতর তিন রাকাত পড়তেন। তিন রাকাতের দ্বিতীয় রাকাতে তাশাহহুদের জন্য বসতেন, কিন্তু সালাম ফেরাতেন না। সালাম ফেরাতেন সবশেষে তৃতীয় রাকাতে।

যেমন—আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত, তিনি আয়েশা (রা.)-কে জিজ্ঞাসা করেন, রমজানে নবীজির নামাজ কেমন হতো? জবাবে তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানে এবং রমজানের বাইরে ১১ রাকাতের বেশি পড়তেন না। প্রথমে চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করো না! এরপর আরো চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা তো বলাই বাহুল্য! এরপর তিন রাকাত (বিতর) পড়তেন। (সহিহ বুখারি : ১/১৫৪, হাদিস ১১৪৭; সহিহ মুসলিম : ১/২৫৪, হাদিস ৭৩৮; সুনানে নাসায়ি ১/২৪৮, হাদিস ১৬৯৭)।

সাদ ইবনে হিশাম (রহ.) বলেন, আয়েশা (রা.) তাকে বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বিতরের দুই রাকাতে সালাম ফেরাতেন না। (সুনানে নাসায়ি ১/২৪৮; হাদিস ১৬৯৮; মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা ৪/৪৯৪, হাদিস ৬৯১২)।

ইমাম হাকেম (রহ.) হাদিসটি বর্ণনা করার পর বলেন, হাদিসটি বুখারি ও মুসলিমের শর্ত মোতাবেক সহিহ।

আমিরুল মুমিনিন উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)ও এভাবে বিতর পড়তেন এবং তার সূত্রে মদিনাবাসীরা তা গ্রহণ করেছেন। (মুস্তাদরাক আলাস সহিহাইন ১/৩০৪, হাদিস : ১১৮১)

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর তাহাজ্জুদ ও বিতর প্রত্যক্ষ করার জন্য আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) এক রাতে তার খালা উম্মুল মুমিনিন মাইমুনা (রা.)-এর ঘরে অবস্থান করেন। তিনি যা যা প্রত্যক্ষ করেছেন তা বর্ণনা করেছেন, তার শাগরেদরা সে বিবরণ বিভিন্ন শব্দে বর্ণনা করেছেন।

এখানে সুনানে নাসায়ি ও অন্য হাদিসের কিতাব থেকে একটি বর্ণনা উদ্ধৃত করা হলো—‘মুহাম্মাদ ইবনে আলী তার পিতা থেকে, তিনি তার পিতা আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেন যে রাতে শয্যা থেকে উঠলেন, এরপর মিসওয়াক করেন, এরপর দুই রাকাত পড়েন, এরপর শুয়ে গেলেন। তারপর আবার শয্যা ত্যাগ করেন, মিসওয়াক করেন, অজু করেন এবং দুই রাকাত পড়েন; এভাবে ছয় রাকাত পূর্ণ করেন। এরপর তিন রাকাত বিতর পড়েন। এরপর দুই রাকাত পড়েন।

(সুনানে নাসায়ি ১/২৪৯, হাদিস ১৭০৪; মুসনাদে আহমাদ ১/৩৫০, হাদিস ৩২৭১; ত্বহাবি শরিফ ১/২০১-২০২)

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL