সকাল নারায়ণগঞ্জঃ বান্দরবানে পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২২ তম বর্ষপূর্তি উদযাপিত হয়েছে। পার্বত্য শান্তি চুক্তি দিবস উপলক্ষে ২ ডিসেম্বর সোমবার সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর হতে বান্দরবান সেনা রিজিয়ন ও বান্দরবান জেলা প্রশাসনের আয়োজনে একটি র্র্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজার মাঠ প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
পরে রাজার মাঠে জেলা পরিষদের সদস্য চিং ইয়ং ম্রো এর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনু্ষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন বান্দরবান সেনা রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল খন্দকার শাহিদুল ইমরান,এফডব্লিউ সি,পিএসসি, জোন কমান্ডার লেঃ কর্লেণ আখতার উস সামাদ রাফি, বিএসপি, পিএসসি, সহ বান্দরবান সেনা রিজিয়ন এবং সেনা জোনের অন্যান্য অফিসার্সগণ।
এই সময় আর অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম ইসলাম, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার, সিভিল সার্জন ডাক্তার অংসুই প্রু মারমা,সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর,পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী সহ বান্দরবানের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জনগন, শিক্ষক,ছাত্র-ছাত্রী ।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা সম্প্রীতির বান্দরবানে শান্তি শৃংখলার কাজে নিয়োজিত দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীর ভূয়ষী প্রসংশা করেন । এছাড়াও সেনাবাহীর এই চলমান কার্যক্রমে সকলকে সহায়তা করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন। তাই অতিথিরা বান্দরবান বাসীর পক্ষ থেকে রিজিয়ন ও জোনের সকল কর্মকর্তাবৃন্দকে পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২২ বছর পু্র্তিতে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে জোন কমান্ডার বলেন বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন দেশেই সংঘাত রয়েছে কিন্তু তারা শান্তিতে পৌছাতে পারেনি। তবে সেনাবাহিনীর যুগান্তকারী নেতৃত্বের কারনে আজ শান্তি আনতে সক্ষম হয়েছি।
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে পার্বত্য এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহীনি সর্বদা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার কাজ করে যাচ্ছে ভবিষৎ এ এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে ।
এছাড়াও পার্বত্য দুর্গম এলাকার মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের জন্য রাস্তা তৈরি, স্কুল নির্মাণসহ প্রাকৃতিক দূর্যোগে সর্বদাই সহযোগীতা করে আসছে। আগামী তেও সব রকমের সহযোগিতা নিয়ে মানুষের পাশে থাকবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
অনুষ্ঠানের শেষে বান্দরবানের সকল সম্প্রদায়ের সকল গরীব দুস্থদের মাঝে শীতের কম্বল এবং ছাত্র ছাত্রীদের ভেতর স্কুল ব্যাগ এবং বই বিতরণ করেন সেনা রিজিয়ন।