1. sokalnarayanganj@gmail.com : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. skriaz30@gmail.com : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
আবেগ নয়, ভাবুন - সকাল নারায়ণগঞ্জ
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
না:গঞ্জ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত না:গঞ্জ জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠি জমি দখল নিয়ে ছাত্র জনতার মানববন্ধনে নীট কনসার্ন গ্রুপের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ  পুলিশের উপস্থিতিতেও যেন কমছে না চাষাড়া শহীদ মিনারে মারামারি আইজিপি কাপ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপ ২০২৪-২৫ এর শুভ উদ্বোধন” টিআরসি পদে নিয়োগের Physical Endurance Test (PET) এর ৩য় দিনের কার্যক্রম সম্পন্ন ৭ হাজার পিস ইয়াবাসহ ১ জনকে গ্রেফতার করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ফতুল্লায় যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ১জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১১ ফতুল্লায় গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ১জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১১ দেশের জনগণ চায় আগে সংস্কার পরে নির্বাচন

আবেগ নয়, ভাবুন

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ২৮০ Time View

সকাল নারায়ণগঞ্জ অনলাইন ডেস্কঃ

আমার সমবয়সীরা প্রায়ই বলে, আশি-নব্বইয়ের দশক নাকি শ্রেষ্ঠ দশক ছিল। কারণ, তখন মানুষের মধ্যে ছিল প্রগাঢ় মমত্ববোধ, বিয়ে নামের কার্যকরী প্রতিষ্ঠান, অটুট পারিবারিক বন্ধন, নীতির দিক থেকে সচেতনতা, প্রগাঢ় সামাজিক সংস্কৃতি, প্রথা এবং সৃষ্টিশীলতা। হুমায়ূন আহমেদের ধারাবাহিক নাটক দেখার জন্য তখন সারা বাংলাদেশ অপেক্ষা করত। মনে করিয়ে দিই তাঁর রচিত নাটক কোথাও কেউ নেই, অয়োময় বা এইসব দিন রাত্রির কথা। বড় পরিসরে এগুলোই আসল বিষয়। এই যে কথাগুলো তাঁরা বলছেন একটি-দুটি যুগকে কেন্দ্র করে, তার মানে এই উপাদানগুলো এখন আমাদের জীবনে ‘মিসিং’। অনেকেরই উপলব্ধি—হঠাৎ কেমন করে যেন আমরা সব ভুল করা শুরু করেছি, কোথায় যেন আামাদের সবকিছু ভুল হয়ে যাচ্ছে!

পাশের ফ্ল্যাটে কে থাকে, এখন কেউ খবর রাখে না; একই পাড়া–মহল্লায় কারা থাকে, তা জানা তো আরও দূরের কথা। কেমন করেই বা জানবে! ঘনবসতির দিক দিয়ে বিশ্বের ষষ্ঠ স্থানে থাকা এ শহরের প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪৫ হাজার ৭০০ জন বাস করে (২০১৭ সালের হিসাব অনুযায়ী)। ঘণ্টায় প্রায় ৪০০ শিশুর জন্ম হয় এই শহরে। কত যে বিনিয়োগ আর বাণিজ্যের সুযোগ, তবু সুখী মানুষ মেলা ভার। সবাই মেট্রোপলিটনে জীবনমান উন্নয়নের দৌড়ে লিপ্ত, সময় কোথায় প্রতিবেশীর সঙ্গে গল্প করার। প্রতি ঘণ্টায় একটা করে তালাক হয় এখানে, ৭০ শতাংশ ডিভোর্সই ফাইল করেন নারীরা।

একাকিত্ব বড় এক সমস্যা

অনেক সমস্যার মধ্যে একটা হচ্ছে একাকিত্ব। এত দিন তিনি একজনের সঙ্গে জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন, কিছুটা শেয়ারিংও হয়তো ছিল সেখানে। তালাকের পরের জীবনে তাঁর সঙ্গে হওয়া নির্যাতন নিয়ে তিনি ভীষণ মুষড়ে পড়েন। একাকিত্ব ঘিরে ধরে। এ সময়ে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয় তাঁর দিকে। এদের মধ্যে বিবাহিত পুরুষের সংখ্যাই বেশি।

সঠিক সঙ্গী বেছে না নিতে পেরে অনেক নারী ভুল পথে হাঁটা শুরু করেন। জড়িয়ে যান অল্প সময়ের জন্য খুব সাপোর্টিভ বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে। যে কারণের জন্য একজন নারী তাঁর স্বামীকে ডিভোর্স দেন, একাকিত্ব আর সহমর্মিতার জন্য তিনি নিজেই সেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে যান। তিনি মনে করেন, এই পুরুষ তাঁকে সত্যি ভালোবাসেন, তাঁকে নিয়ে নতুন করে সংসার করবেন। কিন্তু পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মাত্র ৫ শতাংশ তাঁর স্ত্রীকে ছেড়ে আসেন বা তালাক দেন।

পরবর্তী সময়ে এই নারীর জন্য সহজে সঙ্গী বেছে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। অনেকের মধ্যে আস্থার সংকটও তৈরি হয়। তাই বলব, যেকোনো সম্পর্কে সহনশীলতা খুব দরকার। ভেঙে ফেলা যেমন সহজ, স্থায়ী নতুন সম্পর্কে যাওয়া তেমনি কঠিন। বিশ্বস্ত সঙ্গী পাওয়া আরও কঠিন। বিবাহিত পুরুষদের জীবনে এ ধরনের সম্পর্ক অ্যাডভেঞ্চার ও একঘেয়েমি কাটানোর একটা অংশ। এ সম্পর্কের মাধমে কিছুই অর্জিত হবে না, শুধু তাদের যৌন লালসার শিকার হতে হবে। তারা অপশন হাতে রেখেই এগিয়ে আসে। কম হলে এ ক্ষেত্রে একজন নারী হয়ে ওঠেন পুরুষের অনলাইন ফ্যান্টাসি আর বেশি হলে হন ‘রক্ষিতা’। তাই ভুলেও বিচ্ছেদ–পরবর্তী জীবনে নিজেকে কোনো বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে জড়াবেন না।

সন্তানের ক্ষতি নানাভাবে

প্রয়োজনীয় একটি কথা মনে রাখা দরকার। বাচ্চারা খুব ক্ষতিগ্রস্ত হয় মা-বাবার বিচ্ছেদে। বিয়ের পর আপনার সঙ্গে আপনার সঙ্গীর মানসিক, শারীরিক, অর্থনৈতিক, সামজিক, সৃজনশীলতার মিল যদি না হয়, হুট করে সন্তান না নেওয়া ভালো। ভেবেচিন্তে নেবেন। আপনি যখন বুঝতে পারবেন, এই ভদ্রলোকের সঙ্গে আপনার বাকি জীবন কেমন যাবে, তখন সিদ্ধান্ত নিলে ভালো। অনেকে ভাবেন, এক বা একাদিক সন্তানের জন্ম দিলে তাঁর বরের ঘরে মন টিকবে। এর মতো বড় ভুল আর হয় না। যাকে আপনি বাঁধতে পারেননি এত কিছু করে, তাকে বাচ্চাদের মায়াও বেঁধে রাখতে পারবে না। বিচ্ছেদের পর বেশির ভাগ সময়ই বাচ্চাদের ভরণপোষণ, মানুষ করার দায়িত্ব মায়েদের ওপর বর্তায়। মনে রাখবেন, ঢাকার অবস্থান পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরের মধ্যে ২৬তম।

প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব

‘সহনশীল’ প্রাক্তনের সঙ্গে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখুন। সন্তানদের মানসিক বিকাশে এটা অনেক বড় ভূমিকা রাখবে। যাঁরা এখনো অবিবাহিত, তাঁরা মনে রাখবেন, বিয়ে মানে ‘এরপর তাহারা সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল’ এমন রূপকথা নয়। বিয়ে মানে দায়িত্ব। বিয়ে মানে আরও কিছু নতুন সম্পর্ক তৈরি করা এবং সেগুলোর যত্ন নেওয়া। বিয়ে মানে সূর্যোদয় থেকে রাতে ঘুমানোর সময় পর্যন্ত বিশাল কাজের দায়িত্ব, সমাজের আরোপ করা লিঙ্গভিত্তিক কিছু ভূমিকা পালন করা, যেমন পরিবারের জন্য খাবার প্রস্তুত করা, ঘর পরিষ্কার রাখা, বাচ্চা লালনপালন করার বিশাল দায়িত্ব মাথায় নেওয়া।

ভাবিয়া করিও বিয়ে

বিয়ে মানে বিশাল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়ানো। যেমন বাড়িভাড়া, খাবার, বিল, যাতায়াত খরচ ইত্যাদি মেটানো। তাই আবেগপ্রবণ হয়ে বিয়ে করবেন না। সংসার শুরু করেই প্রেমে আটখানা হয়ে চাকরিটা ছেড়ে দেবেন না। কে জানে একটা–দুটা বাচ্চা হওয়ার পরও আপনার বিচ্ছেদ হতে পারে। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েই বিয়ে করা উচিত—এটা ছেলে, মেয়ে উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য।

সংসারে জড়ানো মানেই আপনার নিজেকে ক্ষয়ে ফেলা বা বাড়তি ওজন নিয়ে নিজেকে অনাকর্ষণীয় করে ফেলা নয়। নিজের জন্যই নিজেকে ফিট রাখতে হয়। নিজের মানসিক, শারীরিক সুস্থতার প্রতি খেয়াল রাখুন। অসুস্থ পরিবেশে সন্তান জন্মদানের কথা চিন্তা না করা ভালো। সন্তানের মানসিক গঠনের দিকে মনোযোগী হোনভুলে কেউ আপনার জায়গা দখলের আগে আপনি তার সবচেয়ে কাছের বন্ধু হোন। বিচ্ছেদ হলে তার পরে সচেতন হোন আবার সঙ্গী নির্বাচনে। ভুল পথে পা বাড়ালে শুধু বিড়ম্বনাই বাড়ে, কমে না।

লেখক: কলাম লেখক ও উদ্যোক্তা

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL