সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৭,৮,৯ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর আয়শা আক্তার দিনার সহযোগিতায় এবার ৫ম পুত্র সন্তানের জম্ম হয়েছে। মা ও বাচ্চা সুস্হ আছে বলে জানিয়েছেন এই সময়ের “মানবতাম মা” উপাধি পাওয়া জনপ্রিয় এই নারী প্রতিনিধি। রোববার (২১ জুন) রাতে নাসিকের এই কাউন্সিলর তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্ট্যাটাসটি সকাল নারায়ণগঞ্জ পরিবারের মাঝে হুবুহু তুলে ধরা হলো: আলহামদুলিল্লাহ।
মানবতার চেয়ে বড় কোনো প্রাপ্তি এই পৃথিবীতে নেই। ফেরারী জীবনে থেকেও আরও এক অসহায় গর্ভবতী নারী কে ডেলিভারী তে সহোযোগীতা করলাম।ইতি মধ্যেই নারায়নগন্জ এর সবাই জানেন আমার উপর হামলা উল্টা আমার নামেই মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে ফেরারী করে রাখা হয়েছে ঠিক সেই মুহুর্তে প্রীতি আপা ফোন করে জানালেন এক অসহায় গর্ভবতী বোন প্রসব ব্যাথায় ছটফট করছে কিন্তু লকডাউনে এবং করোনার কারনে তার স্বামী কর্মহীন হয়ে পড়ায় এখন হাতে কোন টাকা নাই। আমি শুনে সাথে সাথে সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি আপাকে বলি আপনি এক্ষুনি গর্ভবতী বোনটিকে আনার ব্যবস্হা করেন আমি হাসপাতালে আমার মহিলা স্বেচ্ছাসেবক টিম পাঠাচ্ছি এবং রোগির ডেলিভারির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের রিস্ক যেনো না নেয়। যত টাকা লাগে মা ও বাচ্চাকে বাঁচাতে হবে।
আল্লাহ পাক যেনো তাদেরকে সুস্থ রাখে। সব বিল আমার নামে লিখিয়ে রাখবেন। আল্লাহ যদি আমাকে বাঁচিয়ে রাখে তাহলে এই টাকা আমি পরিশোধ করব। আপনি শুধু আমার হয়ে সমস্ত কিছু দেখেন আপা’।তখন প্রীতি আপা আর দেরি না করে সব কাজ ফেলে বিকেলেই ডা. তাইফুর ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করে দৌড়ে চলে যায় তার ক্লিনিকে সোফিয়া জেনারেল হাসপাতালে । মোবাইলে রিপন ভাই, বাংলাদেশ জনদল(বিজেডি) এর মহাসচিব সেলিম আহমেদ ভাইকে ও ডেকে আনেন পাশাপাশি ওদিক থেকে আমার করোনাকালীন মহিলা টিমের দু’জন সদস্য এসে প্রীতি আপা কে সার্বক্ষনিক সহযোগিতা করতে লাগলো।এদিকে ডা. তাইফুর ভাই কোনো ধরনের চিন্তা না করে রোগির সেবায় লেগে গেলেন। বাচ্চা বড় হওয়াতে নরম্যাল ডেলিভারি রিস্ক হয়ে যাবে ভেবে প্রীতি আপাকে ডাকলেন আল্ট্রাসনোগ্রাফি রুমে।প্রীতি আপা আমাকে আবার ফোনে জানালেন কি করবে।
আমি সরাসরি বলে দিলাম রিস্ক নেওয়া যাবেনা ডাঃ তাইফুর ভাই এই মুহুর্তে যা সিদ্ধান্ত নিবেন তাই করুন।তখন প্রীতি আপা আর ডা. তাইফুর ভাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলেন সিজার অপারেশনের। সবশেষে রাত পৌনে ১০টার দিকে ফুটফুটে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নিল। প্রীতি আপা আমাকে ভিডিও কল দিয়ে দেখিয়ে বললেন “এই নিন আপা আপনার ৫ম পুত্র সন্তান”বাচ্চাটিকে দেখে মন ভরে গেলো।নিষ্পাপ মুখটির দিকে ভিডিও কলে দেখে যখন জানলাম মা ও বাচ্চাটি সুস্হ আছে তখন আল্লাহ পাক এর দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করলাম। সর্বশেষে এইটুকুই বলবো কোন অপশক্তিই আমাকে মানবসেবা থেকে দুরে রাখতে পারবেনা।
যতক্ষণ বেচে আছি মানব সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে যাবো।আর যেই ব্যাক্তি আমার কাজে ইর্ষান্বিত হয়ে বার বার আমাকে আঘাত করে যাচ্ছেন তাকে বলবো হিংসা পতনের মুল। সবাই ভালো থাকবেন সুস্হ থাকবেন। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় আসুন সবাই সবাইকে সহায়তা করি যার যার সাধ্য মতো।আর একটি কথা বলতে চাই আমি দিনা ভোটের রাজনিতী করিনা।যদি ভোটের রাজনিতী করতাম তাহলে মাতুয়াইল কোনা পাড়ায় বসবাসকারী গর্ভবতীর দায়িত্ব নিতাম না।এখন মহামারী এখন মানবতার সময়।আপনি আমি যে কেও যে কোন সময় এই মহামারী তে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মরে যেতে পারি তাই আল্লাহ কে ভয় করুন। মানব সেবার মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত করুন।