সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নাসিক ৪নং ওয়ার্ডে হাউজিং এলাকায় প্রবাসী মজিবুর রহমানের বাড়ী জোরপূর্বক দখলের পায়তারায় লিপ্ত হয়েছে, ড. মুফতি শহিদ উল্লাহ উজানবি সহ স্থানীয় দেলোয়ার, জাকির ও মনির গংরা।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন চিটাগাং রোডের ৪নং ওয়ার্ড হাউজিং এলাকায় খরিদ সূত্রে, ৬.৮৯ শতাংশ বাড়ীটি একই এলাকার জহিরুল হাসানকে দীর্ঘদিন যাবৎ রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বপ্রদান করেন মুজিবুর রহমান।
দীর্ঘদিন যাবৎ প্রবাস জীবনযাপন করছেন তিনি। আর সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফকির বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব ড. মুফতি শহিদ উল্লাহ উজানবী, দেলোয়ার, জাকির ও মনির গংরা পেশিশক্তির মাধ্যমে এ বাড়ীটি জবরদখলের পায়তারা চালাচ্ছে।
বাড়ির রক্ষণাবেক্ষক ও কেয়ারটেকার জহিরুল হাসান জানান, প্রবাসী মজিবুর রহমান প্রায় ২০ বছর যাবৎ আমাকে বাড়িটি দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়ে আসছেন।
আমি দীর্ঘদিন বাড়িটি দেখাশোনা করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ কিছুদিন পূর্বে টিপু নামে এক সাংবাদিক ও ফকির বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব ড. মুফতি শহিদ উল্লাহ উজানবি নামক এক ব্যক্তি আলাদা আলাদা ভাবে এই জায়গার মালিকানা দাবী করেন।
সাংবাদিক টিপু বলেন, এই জমির মালিক মজিবুর রহমান জমি বন্ধক রেখে তার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। তাই এই বাড়ির মালিক তিনি। অন্যদিকে ড. মুফতি শহিদ উল্লাহ উজানবি দাবি করেন, মজিবুর রহমান সিটি ব্যাংকের ঋণখেলাপী। আমি ব্যাংক থেকে জমি ক্রয় করেছি। তাই এই জমির মালিক আমি। কিন্তু তারা কেউই বৈধ কোন কাগজ বা ব্যাংকের নোটিশ দেখাতে পারেনি।
এছাড়াও জহিরুল হাসান বলেন, রবিবার (১৪ জুন) আনুমানিক বেলা ১২টায় মালিকানা দাবীকারি সাংবাদিক টিপুকে মারাত্মকভাবে মেরে রক্তাক্ত জখম করে তারা এবং বাড়িতে সাইনবোর্ড টানিয়ে দখল করে নেয়। বর্তমানে ঐ সাংবাদিক ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। ড. মুফতি শহিদ উল্লাহ উজানবী, দেলোয়ার, জাকির ও মনির গংরা আমাকে বিভিন্নভাবে হত্যা, গুম ও খুনের হুমকি দিয়ে আসছে।
এমতাবস্থায়, আমি ও আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ড. মুফতি শহিদ উল্লাহ উজানবি বাহিনীর ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মাননীয় এসপি মহোদয়, পুলিশ প্রশাসন ও নাসিক ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রতি আমার পরিবারের নিরাপত্তা কমনা করছি?